মালয়েশিয়ায় ১৪ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৫:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: দুই মাসেরও কম সময়ে ১৪ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।
১ জানুয়ারী থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৫২৮ টি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ১৪ হাজার ৩৬১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। তবে আটক অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি। মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, একই সময়ে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে ১৩৯ নিয়োগকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা টিভিতে দেয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এ অভিযান কেবল অবৈধ অভিবাসীদের লক্ষ্য করছে না, নিয়োগকর্তাদেরও। কিছু নিয়োগকর্তা আছেন যারা বিদেশী কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া এড়াতে চান, তারা লেভি দিতে চান না। এটি ভুল কারণ দেশে আইন রয়েছে যা অবশ্যই অনুসরণ করা উচিত।
১ মার্চ থেকে অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি (পিআরএম) শুরু হলেও অভিবাসন বিভাগ অনথিভুক্ত বিদেশীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন রুসলিন জুসোহ। প্রত্যাবাসন কর্মসূচি যা ১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে এ কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা ইমিগ্রেশন বিভাগের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করার পরে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর মধ্যে বৈধ ভ্রমণ নথি এবং একটি ফিরতি টিকিট অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এই বছর অভিবাসন বিভাগ মালয়েশিয়া জুড়ে ২২০টি ‘হটস্পট’-এ অভিযান পরিচালনা করবে। ২২০টি ‘হটস্পট’-এ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সমন্বিত অপারেশন পরিচালনা করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। বিদেশিদের আগমন রোধে অভিবাসন বিভাগ যে ব্যবস্থা নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিদেশী শ্রম, পাইকারি বাজার এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের গ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়োগকারী ব্যবসার পরিদর্শন। এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ও পরিদর্শনও কঠোর করেছে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশকারী বিদেশী দর্শকদেরও তাদের মূল দেশে ফিরতি টিকিট উপস্থাপন করতে হবে।