যাদুকাটা নদীকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন ঘোষণার দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৭:৪৩:১৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় বালু মহাল যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বিলুপ্ত ঘোষণা এবং নদীকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করতে এবং সেই মোতাবেক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
মঙ্গলবার বেলা’র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত নোটিশ অব ডিমা- ফর জাষ্টিস’এ এসব কথা উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে এই দুটি মহালের ইজারা প্রদান সংক্রান্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তিসহ ইজারা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, পাহাড়ী এই নদীর অস্তিত্ব সংকটে ফেলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ও নদীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও নোটিশ অব ডিমা- ফর জাষ্টিস ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর (সিলেট বিভাগ) পরিচালক, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। নোটিশ প্রেরণের ৭ দিনের মধ্যে উল্লিখিত সকলকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় বেলা’র পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ’র নোটিশে উল্লেখ করা হয়, যাদুকাটা নদী একটি সীমান্ত নদী। এ নদী ভারতের খাসিয়া জৈন্তা পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীতে দু‘টি বালু মহাল রয়েছে যা যাদুকাটা-১ এবং যাদুকাটা-২ বালু মহাল নামে পরিচিত। যাদুকাটা-১ বালু মহালটি তাহিরপুর উপজেলার চালিয়ার ঘাট মৌজায় এবং যাদুকাটা-২ বালু মহালটি বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর মৌজার চালিয়ারঘাট, লাউর এবং ইকরাটিয়া মৌজায় অবস্থিত।
ইতোপূর্বে এ বালুমহাল দুটি ইজারা প্রদান হলে ইজারা গ্রহীতাগণ বালুমহাল ও বালু মহালের বাইরে যত্রতত্র থেকে যান্ত্রিক উপায়ে বালু উত্তোলনের কারণে এশিয়ার বৃহত্তম পর্যটন ষ্পট শিমুল বাগান, বারেকটিলা, শাহ্ আরেফিন সেতু, বিজিবি ক্যাম্প, শ্রী অদ্বৈত প্রভুর মন্দির, লাউড়েরগড় বাজার, বিন্নাকুলী বাজার, ঘাগটিয়া, গড়কাটি, মোদেরগাঁও, পাঠানপাড়া, কুনাটছড়া, সোহালা, মিয়ারচর ও সত্রিশ গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার অভিযোগ আছে এলাকাবাসীর।