হামাসের দুই শর্তে আটকে আছে যুদ্ধবিরতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মার্চ ২০২৪, ৯:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। মিসরের রাজধানী কায়রোতে চলমান এই আলোচনায় যোগ দিয়েছে হামাস ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশ।রোববারের (৩ মার্চ) এ বৈঠকের আগে নাম প্রকাশ না করা হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল যদি তাদের দাবি মেনে নেয় তাহলে আগামী ২৪ অথবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ হামাসের দুটি শর্তের কারণে এটি আটকে আছে। প্রথমটি হলো, হামাস বলছে ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হচ্ছে অথবা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে না যাচ্ছে, ততক্ষণ তারা আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে না।দ্বিতীয়টি হলো, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাবে সেই গ্যারান্টি দিতে হবে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এখন যদি হামাস এ শর্ত মেনে নেয় তাহলে এটি কার্যকর হবে। গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি।এছাড়া যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি খাবারের অভাবে পড়েছেন গাজার সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে দখলদার ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে।দুই সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই যুদ্ধবিরতির একটি কাঠামো তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রথমে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৪০ জিম্মি ও ইসরায়েল কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এরপর আরও জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বে।সূত্র: সিএনএন