অগ্নিঝরা মার্চ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০২৪, ৩:৪৫:১০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ৫ মার্চ ১৯৭১। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বের শেষ ধাপে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেটসহ সারা দেশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গোটা দেশকে রক্তে রঞ্জিত করে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। গণহত্যার প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে সমগ্র বাঙালি জাতি। শহরে-বন্দরে, গ্রামে-গঞ্জে, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।শাসকগোষ্ঠী এই আন্দোলন দমন করার জন্য সর্বত্র পেশিশক্তির আশ্রয় নেয়। কেবল ঢাকা শহরেই শত শত মানুষের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়। বর্বরোচিত পন্থায় নিরীহ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ইয়াহিয়া-ভুট্টো।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ৫ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে নিরস্ত্র জনতাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর এই নির্যাতনমূলক কাজের নিন্দা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। অথচ আমরা জানি বিদেশি হামলা থেকে দেশকে রক্ষার জন্যই এই সব অস্ত্র ব্যবহৃত হবার কথা। পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাজউদ্দীন বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে। এই সময় পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষেরও উচিত বাংলাদেশের নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গণহত্যা বন্ধের দাবি তোলা।’