মালদ্বীপে বেসামরিক পোশাকেও থাকতে পারবে না ভারতীয় সেনা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মার্চ ২০২৪, ৯:২৮:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: সামরিক ক্ষেত্রে চীনের নিঃশর্ত সহযোগিতা চুক্তি সই হওয়ার দিনই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু জানিয়ে দিলেন, ১০ মের পর সে দেশে ইউনিফর্ম পরা অথবা সাধারণ নাগরিকের পরিচিতিতে সাদাপোশাকের একজন ভারতীয় সেনাকেও থাকতে দেওয়া হবে না।
দ্বীপরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্যের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু বলেন, কেউ কেউ গুজব ছড়াচ্ছে, সরকার নাকি ব্যর্থ। ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠানো যায়নি। তারা সামরিক উর্দি ছেড়ে সাধারণ নাগরিকের পোশাকে ফিরে আসছে। এমন ধরনের ধারণা বাঞ্ছনীয় নয়। এই ধারণাকে প্রশ্রয় দেওয়াও যায় না। কারও মনে এমন কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। এমন গুজব ছড়ানো ঠিক নয়। মালদ্বীপের একাধিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই মঙ্গলবার এই খবর দিয়েছে।
মালদ্বীপের গণমাধ্যম বলছে, ওই অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু বলেছেন, ‘১০ মের পর মালদ্বীপে একজনও ভারতীয় সেনা থাকবেন না। উর্দিতে অথবা সাদাপোশাকে—কোনোভাবেই নয়। এই কথা আমি আস্থার সঙ্গে বলতে পারি।’
মুইজ্জু চীনপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনে জেতার পরই তিনি চীনের একটি যুদ্ধজাহাজকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মালদ্বীপে নোঙর করার অনুমতি দিয়েছেন। ভোটে জয়ী হয়েই তিনি মালদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাসদস্যদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।ভারত ও মালদ্বীপের কোর কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়, ভারত দুই দফায় সে দেশে থাকা ৮৮ সেনা সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেবে। প্রথম দফায় ১০ মার্চের মধ্যে ফিরে যাবেন কিছু সেনা। ১০ মে বাকিরা চলে যাবেন। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হবেন বেসামরিক বিশেষজ্ঞরা।
মালদ্বীপকে দেওয়া দুটি হেলিকপ্টার ও একটি ডর্নিয়ার বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ভারতের বেসামরিক বিশেষজ্ঞরা করবেন। ওই কাজে এত দিন ধরে নিযুক্ত ছিলেন ওই ৮৮ ভারতীয় সেনা।