বর্ধিত সময়েও শেষ হলোনা ফসল রক্ষা বাঁধ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০২৪, ১:১০:১৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ, কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী
এমজেএইচ জামিল : বর্ধিত এক সপ্তাহ সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সুনামগঞ্জের ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজ। শেষ করতে আরো ৩/৪ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে ৯৬ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে বলেও দাবী সংস্থাটির।
তবে পাউবো’র এমন তথ্য মানতে নারাজ হাওর বাঁচাও আন্দোলন। সংগঠন নেতৃবৃন্দের দাবী এখন পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ৬৫ ভাগের বেশী কাজ হয়নি। পাউবো কর্তৃপক্ষ বাস্তবতা উপলব্ধি না করে ঘরে বসে রিপোর্ট দিয়েই কাজের শেষ দেখাতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এদিকে বর্ধিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। সমাবেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন, প্রাক্কলন ও কাজ শুরু কোনোটিরই ডেডলাইন রক্ষা হয়নি। এবার সময় বাড়ানোর পরও বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করা যায়নি। যা খুবই দুঃখজনক এবং শঙ্কার। ২০১৭ সালের পর থেকে হাওরে নতুন নীতিমালায় হচ্ছে বাঁধের কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময় ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু এবারও এই সময়ে বাঁধের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ অবস্থায় সময় আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর আবেদন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ)। কিন্তু বর্ধিত সময়েও শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। ফলে কষ্টের সোনালী ফসল রক্ষা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সুনামগঞ্জের লাখ লাখ কৃষক।
এবার জেলার ১২টি উপজেলার ৪০টি হাওরে ৭৩৫টি প্রকল্পে ৫৯১ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলছে। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা। জেলার ৯৫টি হাওরে সোয়া ২ লাখ হেক্টর বোরো আবাদ হয়েছে।
এদিকে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাজে তদারকির অভাব, অনিয়ম ও গাফিলতি রয়েছে। এবার গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। দুর্বল বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজ দ্বিতীয় দফার বর্ধিত সময় বুধবার শেষ হয়ে গেলেও শেষ হয়নি বাঁধের কাজ। এদিকে সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ করতে না পারায় ৮, ১১ ও ১৪ নম্বর তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতিদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
জনগন্নাথপুর প্রতিনিধি জানান, হাওরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কয়েকটি প্রকল্পে এখনও মাটি ফেলার কাজ বাকি রয়েছে। আবার কিছু কিছু প্রকল্পে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। সেখানে ঘাস লাগানো ও ড্রেসিং করা হচ্ছে।
নলুয়ার হাওরে দেখা গেছে, ৮,১১ ও ১৪নং প্রকল্পের অনেক স্থানে এখনও মাটি পড়েনি। ৯ ও ১০নং প্রকল্পে মাটি কাটার কাজ শেষ হলেও ড্রেসিংসহ শেষ মুহূর্তের কাজ বাকি আছে।
৮নং প্রকল্পের সভাপতি সুজাত মিয়া জানান, মাটি কাটার যন্ত্র নষ্ট হওয়ায় ও বৃষ্টির কারণে কিছুদিন কাজ দেরি হয়েছে। বর্তমানে জোরেশোরে কাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে শেষ হবে। ১১নং প্রকল্পের সভাপতি মফিজ আলী জানান, তার প্রকল্প এলাকায় মাটির কাজ শেষের পথে। এখন শুধু ড্রেসিং ও ঘাস লাগানোর কাজ চলবে।
১৪নং প্রকল্পে এখনও অনেক জায়গায় মাটি পড়েনি। প্রকল্পের সদস্য চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য জানান, প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ঝুঁকিপূর্ণ অংশে মাটির কাজ শেষ।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন, জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করার নিয়ম থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ না হওয়া দুঃখজনক। হাওরে এখনও ২০ প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত। তাই আগাম বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। এ নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, সময়মতো কাজ শেষ না করায় ৮, ১১ ও ১৪নং প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বুধবার ছিল নোটিশের জবাব দেওয়ার শেষ দিন।
জগন্নাথপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম জানান, তিনি নলুয়া হাওরের ১ থেকে ১৪নং প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে ৮, ১১ ও ১৪নং প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে শুক্রবারের মধ্যে হয়তো শেষ হয়ে যাবে।
শুধু জগন্নাথপুর নয়, এমন চিত্র জেলার প্রায় সবকটি উপজেলার। এখনো পুরোপুরি ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়নি জেলার কোন উপজেলাতেই। অথচ ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের সময়সীমা ছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারাও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, এ পর্যন্ত কাজ ৯৭ ভাগ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও ২/৩ দিন সময় লাগবে।
এদিকে পাউবো’র দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, বাঁধের সার্বিক অবস্থা ভালো নয়। কাজের গতি কম। এখন পর্যন্ত ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে। আরো ৩ দিন কেন ১৫ দিনে এই কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।
জামালগঞ্জ উপজেলার হালির হাওরের কয়েকজন কৃষক জানান, সেখানে ১২ থেকে ১৮নং -এই ৭ প্রকল্পে এখনো মাটির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। শ্রমিকেরা বাঁধে মাটি ফেলছেন। ১২নং প্রকল্পের নদীর তীরের মাটি ধসে পড়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর, গুরমার হাওরে এখনো বাঁধের কাজ অস¤পূর্ণ আছে। মাটিয়ান হাওরের বোয়ালমারা বাঁধের ৬০, ৬১ ও ৬২নং প্রকল্প, বর্ধিত গুরমার হাওরের ১৪নং প্রকল্প এবং শনির হাওরের ২৬, ৩৪, ৪৫ ও ৭৭নং প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এসব প্রকল্পে সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বৃষ্টি হওয়া, কার্যাদেশ দেরিতে পাওয়াসহ নানা অজুহাত সামনে আনছেন কাজ শেষ করতে না পারার পেছনে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, কাজে ধীরগতির পাশাপাশি তদারকির অভাব রয়েছে। আবার পিআইসির লোকজন সময়মতো টাকা পাননি, এটাও একটা সমস্যা। সবমিলিয়ে যথা দ্রুত সম্ভব বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় এখনো বাঁধের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। ধর্মপাশা উপজেলার দায়িত্বে পাউবো কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, তাঁর উপজেলায় ৯৬টি প্রকল্প রয়েছে। এখানে বাঁধের কাজ ৯৫ ভাগ শেষ। মধ্যনগর উপজেলার ঘোরাডোবা হাওরের কৃষক জানান, ওই হাওরের কয়েকটি প্রকল্পে এখনো মাটি ফেলা হচ্ছে।
১ নং প্রকল্পের সভাপতি নান্টু লাল সরকার বলেন, বৃষ্টির কারণে পাঁচ দিন কাজ বন্ধ ছিল। এখন শেষ হওয়ার পথে রয়েছে। একইভাবে কাজ চলমান আছে চন্দ্রসোনারথাল হাওরে। এই হাওরের ৫২নং প্রকল্পের সভাপতি শাহীন আলম বলেন, হাওর থেকে পানি ধীরে নামায় কাজে বিলম্ব হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, মাঝখানে বৃষ্টি হওয়াতেই কোনো কোনো হাওরে কাজে সমস্যা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় বাঁেধর কাজ ৯৭ ভাগ শেষ হয়েছে। পুরো জেলার ১০/১২টি পিআইসির কাজ কিছুটা বাকী রয়েছে। তা দুয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হবে। আমরা সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাঁেধর কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দুয়েকদিনের মধ্যে পুরোপুরি কাজ শেষ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, এখন পর্যন্ত হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ ভাগ হয়েছে। যেসব স্থানে বাধঁ হয়েছে অধিকাংশই নিম্নমানের। অল্পবৃষ্টিতেই বাঁধ ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবারের বাঁধের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। অনেক জায়গায় এখনো মাটি পড়ছে। কিছু জায়গায় বাঁধ হলেও দুর্মুজ ও গ্যাস লাগানো বাকী রয়েছে। সবমিলিয়ে হাওরবাসীর জন্য এবার চরম দুর্গতি অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। এখন বাঁধ পরিদর্শনে যাবো। ধারাবাহিকভাবে বাধেঁ বাঁেধ, উপজেলায় উপজেলায় মানববন্ধন-প্রতিবাদ সমাবেশ করবো। শেষ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী দেয়া হবে। এরপরও যদি হাওরের ফসলের কোন ক্ষতি হয় তাহলে পাউবো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবো।
সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ :
বর্ধিত সময়েও ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ না হওয়ায় সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে সাড়ে ১০ টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা বারের বিশিষ্ট আইনজীবি এডভোকেট বুরহান উদ্দিন দোলন, এডভোকেট মনিষ কান্তি দে মিন্টু, এডভোকেট সবিতা চক্রবর্তী, এডভোকেট মহসিন রেজা মানিক, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সুখেন্দু সেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্রাচার্য্য, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সহ সভাপতি মোঃ আলীনুর, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, শহীদনুর আহমেদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আবু সইদ ও জেলা নিসচা নেতা মহিম তালুকদার প্রমুখ।
ঐ প্রতিবাদ সমাবেশে সর্বস্তরের জনগণসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একাত্মতা পোষণ করেন।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন,ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মানে সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ নির্মান করা হয়নি। এখনও বাঁধ নির্মানের কাজ চলছে। কিন্তু ২৮ শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ বাঁধের কাজ শেষ করার নির্দেশনা ছিল। ৭ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা পিআইসিরা। বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষতি হলে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে মামলা করার হুশিয়ারী দেন তারা।
জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনি হাজার হাজার কৃষকের ফসল রক্ষা বাঁধের বিষয়ে বিস্তারিত জানান কত টুকু কাজ হয়েছে, কিভাবে হয়েছে। কারণ কৃষকগণ কেউই জানে না বাঁধ কাজের পরিমান। যা জানে তা হলো নিয়মবহির্ভূতভাবে বাঁধের টাকা লুটপাট করতে বাঁধ নির্মান সঠিকভাবে হয়নি। এমনকি অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে তেমন কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে কাজে ধীরগতি দেখা গিয়েছে।