রমজান সমাগত, মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০২৪, ৯:২৪:৪৪ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : রমজান সমাগত। রোজার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। অন্যদিকে, রোযার অত্যাশ্যকীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।এবার রমজানকে ঘিরে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই গতবছরের চেয়ে বেশি। গত এক বছরের ব্যবধানে খুচরা বাজারগুলোতে ছোলা, খেজুর, মসুর ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, বেসন, মাছ ও মাংসের দাম কেজিতে ১৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে
।
রোজা শুরুর আগে শুক্রবার ছিলো ছুটির দিনের বাজার। যে কারণে বেশিরভাগ ক্রেতা রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাজারে এসেছিলেন। তবে বাজারে এসে হতাশা ছাড়া কিছুই খুঁজে পাননি ক্রেতারা। দেখছেন আগেভাগেই বেশিরভাগ পণ্যের দর বেড়েছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি, যা গত সপ্তাহে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সোনালি ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩২০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।রমজানের আগে খেজুর ও ছোলা বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। বাজারে এখন এক কেজি সাধারণ মানের (জাহেদি) খেজুর ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর রোজার আগ মুহূর্তে এ ধরনের খেজুরের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এছাড়া ভালো মানের খেজুর ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, যা গত রমজানের থেকে ৪০০ টাকা বেশি।
অন্যদিকে, রমজানের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। গতবছর বাজারে এ সময় ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। সেই হিসেবে এবার কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। একইভাবে পিঁয়াজুর তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় খেসারি ডালের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। যা আগে ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল।
গত বছর এ সময় প্রতি কেজি চিনি কেনা গেছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এখন কিনতে হলে ভোক্তাকে গুণতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ চিনির কেজিতে এক বছরের ব্যবধানে ক্রেতাদের বেশি খরচ করতে হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।এদিকে, গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ থেকে ৮০, করলা ১০০, ঢেঁড়স ৮০, বরবটি ১২০, শশা ৮০, পেঁপে ৫০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, ঝিঙ্গা ১০০, পটল ১২০, সজনে ২৪০ এবং প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।
চলতি সপ্তাহে এসব বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মূলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০, পাকা টমেটো ৫০ থেকে ৬০, আলু ৩৫ এবং প্রতিটি ফুলকপি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলার হালি ৪০, পেঁয়াজের ফুলকলি ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।