ফুটপাত ছেড়ে নতুন ঠিকানায় হকাররা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০২৪, ২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন
তিন হাজার হকার পুনর্বাসনের আশা
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে সিলেট নগরীতে ৩য় বারের মতো শুরু হলো হকার পুনর্বাসন কার্যক্রম। ফুটপাত ছেড়ে হকাররা গিয়েছেন নতুন ঠিকানায়।। রোববার সকালে নগরীর লালদিঘীরপাড় এলাকায় নির্মিত অস্থায়ী হকার মার্কেটের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
নির্বাচিত হওয়ার পরপরই নতুন মেয়র নগরীর ভ্রাম্যমাণ হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। সম্প্রতি প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নগর ভবনের পাশের লালদীঘিরপাড় এলাকায় অস্থায়ী বিপণিবিতান (মার্কেট) নির্মাণ করা হয়। সেখানে মাটি ভরাট, ইটের সলিং, বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থাসহ সব কাজ শেষে রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানটি হকারদের ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এসব দোকানে আড়াই থেকে তিন হাজার হকার একসঙ্গে বসে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নগর কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালদিঘীরপাড় মার্কেটে লোক সমাগম বাড়ছে। পুরো মাঠ এখনো খালি পড়ে থাকলেও মাঠের শুরুর দিকে কয়েক সারিতে মাছ, সবজি ও ফল বিক্রেতাদের বসতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, আজ প্রথম দিন, মাত্র উদ্বোধন হয়েছে তাই ক্রেতা কম। তবে নগরীর ফুটপাতে হকারর না বসলে সব ক্রেতারাই এই মাঠমুখী হবে। এখানে ব্যবসা জমে উঠতে কয়েকদিন লাগবে বলে জানান উপস্থিত একাধিক হকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালে হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ঐ বছরের জানুয়ারিতে নগরভবন-লাগোয়া লালদিঘীরপাড়ের খোলা মাঠে হকারদের জন্য অস্থায়ী ভাবে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করেন তিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেশি দিন সেখানে থাকেননি। তার কারণ ছিল তাদের লাইটিং সমস্যা ও রাস্তা। ২০২১ সালে প্রাথমিকভাবে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজার ৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয়। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেস্তে যায় হকার পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ। সিসিক নির্মিত অস্থায়ী মার্কেটে হাতেগুণা কয়েকটি দোকান ছাড়া আর বসেন না কেউ। উল্টো নগরের ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কেরও বহুলাংশও দখল করে নেন তারা। ফলে দিনভর নগরে লেগে থাকতো যানজট।
এর আগে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পৌর মেয়র থাকাকালেও একবার হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই সময়ে হকারদেরকে নগরীর রেজিষ্টারী মাঠে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এরপরও ব্যবসায়ীরা সেখানে বেশীদিন থাকেন নি।
এদিকে সিসিক সূত্রে জানা গেছে, লালদিঘির পাড় মাঠে প্রায় সাড়ে ৪ একর জায়গা নিয়ে হতে যাওয়া এই মাকের্টে আড়াই হাজার দোকান বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহানগরের ভ্রাম্যমাণ হকাররা সেখানে থাকবেন। প্রত্যেক হকারের জন্য ৭ ফুট/৩ ফুট জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হবে। মাঠটিতে ইতোমধ্যে মাটি ভরাট করা হয়েছে। কাদা-পানি যাতে না জমে এ জন্য ইট ও বালু ফেলা হয়েছে। তৈরি করা হবে গলি। শেড তৈরি করে দোকানকোটাগুলো ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ঈদের আগেই এ কাজ সম্পন্ন হবে। প্রস্তুতকৃত লালদিঘীরপাড় মাঠে আড়াই থেকে ৩ হাজার হাকারকে পুনর্বাসন করা হবে।