আনজুমানে খেদমতের যাকাত সামগ্রী বিতরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০২৪, ৬:০০:২৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশস্থ সৌদী দূতাবাসের সাবেক দা’ঈ আল্লামা ইসহাক আল মাদানী বলেছেন, যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্রমুক্ত সমাজ। যাকাতের সঠিক ব্যবহার হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, দারিদ্র দূর হবে। ধনী ও গরীবের বৈষম্য থাকবেনা। আনজুমানে খেদমতে কুরআন দ্বীনি দায়িত্ব ও আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সেলাই মেশিন বিতরণ কোন করুণা নয়। তা ধনীর উপর গরীবের হক। এসব তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া ইসলামের মহান শিক্ষা। এর মাধ্যমে পরকালিন মুক্তি ও ইহকালিন সাফল্যের পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি রোববার বিকেলে আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে সেলাইমশিন ও যাকাত সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ১৩টি সেলাই মেশিন বিতরণের পাশাপাশি গৃহ নির্মাণ, বিবাহ সহযোগিতা, চিকিৎসা সহযোগিতা, শিক্ষা সহযোগিতা, ঋণ পরিশোধে সহযোগিতা ও খাদ্য সহযোগিতা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়।
আনজুমানের সহ-সভাপতি হাফিজ আব্দুল হাই হারুনের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারী ড. এএইচএম সোলায়মানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারী হাফিজ মিফতাহুদ্দীন আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুন খান, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সিলেটের সভাপতি এডভোকেট আলিম উদ্দিন, সমাজসেবী মাহমুদুল হোসেন তোফা, জাহেদুর রহমান চৌধুরী, পারভেজ আহমদ, ইফতেখার আহমদ, আব্দুল জলিল, আব্দুল বাছেত মিলন ও শাকের আহমদ চৌধুরী প্রমূখ।
আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের সেক্রেটারী হাফিজ মিফতাহুদ্দীন আহমদ বলেন, আনজুমানে খেদমতে কুরআনের কাজ হলো ৩ টি। ইলম, আমল ও খেদমতে খালক। এর আলোকে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সেলাই মেশিন ও কম্বল বিতরণ করে আনজুমানে খেদমতে কুরআন তার দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়া প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিজ্ঞপ্তি