জলদস্যুদের কবলেপড়া ২৩ নাবিক নিরাপদে আছেন : প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৪, ৯:০২:২৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: সোমালীয় জলসীমায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থতার সাথে ফেরত আনার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জলদস্যুদের কবলেপড়া জাহাজে ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। অপহরণ হওয়া জাহাজ উদ্ধারের অগ্রগতি জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে যে কোনো মূল্যে নাবিকদের আমরা বাংলাদেশে ফেরত আনতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, বলা হচ্ছে সোমালিয়া থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি। জলদস্যু কারা এটাই এখনো আইডেন্টিফাইড নয়। ওই অঞ্চলটি সোমালিয়ান অঞ্চল সেটি বলা যেতে পারে। তবে সেটা কে তা (সোমালীয় জলদস্যু) বলা মুশকিল।
পরিবারগুলো উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছে-এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সামাজিক জীব, পরিবার নিয়ে বসবাস করি। যে পরিবারগুলোর সদস্যরা সেখানে আটকে আছে, সে পরিবারগুলোর কীভাবে দিন যাচ্ছে সেটা আমরা অনুভব করছি। প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্য জায়গাগুলোতে তিনি কথা বলেছেন। নাবিকদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে কত সময় লাগতে পারে- জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, যারা এখন জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা তো মানুষ না তারা জলদস্যু। মানুষের সঙ্গে কথা বললে আমি সময় নির্ধারণ করতে পারবো, এতগুলো মিটিং করলে আমরা শেষ করতে পারবো। এটা জলদস্যুদের বিষয়, জলদস্যু আর মানুষ এক নয়। তাই সময়টা এখানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না।
এর আগেই একই ঘটনা ঘটে জাহাজটির মালিক কবির স্টিল রোলিং মিলসের (কেএসআরএম) সঙ্গে। এই কোম্পানির একটি জাহাজ (এমভি জাহানমণি) ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার ২৬ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ১০০ দিন পর তাদের মুক্ত করে এনেছিল কোম্পানি। ফলে এবারও পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় কবির গ্রুপ।
কবির গ্রুপের মিডিয়া অফিসার মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত নাবিক বা জাহাজ উদ্ধারের জন্য আলোচনা শুরু করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জাহাজ ছিনতাই করার পর জলদস্যুরা সাধারণত কোনো যোগাযোগ করার আগে বা মুক্তিপণ দাবি করার আগে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তবে কর্মকর্তারা বুধবার সকালে কয়েকজন ক্রুর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন এবং ক্রুরা নিরাপদ এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান।