সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না খেজুর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১০:০৩:১০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : ইফতারের অন্যতম উপকরণ খেজুরের দাম সরকার বেঁধে দিলেও মানছে না ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে এর কোনও প্রভাব নেই। দেশে আমদানিকৃত বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানিমূল্য, আরোপিত শুল্ক ও কর এবং আমদানিকারকের অন্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার (১১ মার্চ) প্রতিকেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করে।
গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অতি সাধারণ ও নিম্ন মানের খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করলেও এ দামে খেজুর বিক্রি করছেন না কোনো ব্যবসায়ী।
বুধবার নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২২০ টাকার নিচে কোনো খেজুরই নেই বাজারে। মাঝারি মানের খেজুর কিনতেও গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।অতি সাধারণ ও নি¤œমানের খেজুর হিসেবে পরিচিত বাংলা খেজুর দোকানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর ইরাকের জাইদি খেজুর কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়।
বন্দরবাজারের খুচরা খেজুর ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর মতো পরিস্থিতিতে নেই। কেউ হয়তো বেশি পরিমাণে নিলে কিছুটা কম দামে দেওয়া সম্ভব। চাহিদা না কমা পর্যন্ত খেজুরের দাম কমার সম্ভাবনা দেখছি না।সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাজারে খেজুর না পেয়ে আকবর আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, যে খেজুর গত বছর কিনেছিলাম ৫০০ টাকায়, সেটা চাইতেছে ৯০০ টাকা। পছন্দও হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা কেজি খেজুরের ২০০ গ্রাম কিনলাম।
এদিকে সিলেটের বাজারে বর্তমানে মোটামুটি উন্নতমানের প্রতি কেজি খেজুর অন্তত ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি। সৌদি মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, আজোয়া এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।