এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ১১৫ কোটি ডলার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০২৪, ৯:৩৪:২৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত এক সপ্তাহে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন বা ১১৫ কোটি ডলার কমে গেছে। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী (বিপিএম৬) ৬ মার্চ গ্রস রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত বুধবার তা ১৯ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সোয়াপ পদ্ধতি চালুর পর রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়া আমদানি দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস তথা গত জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণপ্রাপ্তির শর্ত হিসেবেই তা করা হচ্ছে। আইএমএফের সদস্যদেশগুলো যদিও ২০১২ সাল থেকে ব্যালান্স অব পেমেন্টস ও বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের হিসাবায়ন করে আসছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ পদ্ধতিতে হিসাবায়ন শুরু করতে সময় নিয়েছে প্রায় এক যুগ। বিপিএম৬ মূলনীতি অনুযায়ী হিসাব করা রিজার্ভও বাংলাদেশের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ নয়। নিট রিজার্ভ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে আইএমএফ থেকে নেয়া এসডিআরসহ স্বল্পমেয়াদি বেশকিছু দায় বাদ দেয়া হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশের নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতিতে অবশ্য গত বুধবারের হালনাগাদ তথ্যে দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার দেখানো হয়েছে। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। ওই সময় গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর পর থেকে তা ধারাবাহিকভাবে কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডলারের সংকট অনেকটাই কমে এসেছে। এ কারণে বাজারে ডলারের বিনিময় হারও এখন বেশ স্থিতিশীল। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের দায় সমন্বয় হওয়ায় রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। আশা করছি, আবারো রিজার্ভের পরিমাণ বাড়বে।’