জৈন্তায় বেপরোয়া পিকআপ কেড়ে নিল ৬ জনের প্রাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০২৪, ৮:০৩:২৭ অপরাহ্ন
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেট তামাবিল মহাসড়কের দরবস্তে লেগুনা ও টিসি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আরো ৫ লেগুনাযাত্রী আহত হয়েছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সামনে দরবস্ত থেকে হরিপুর অভিমুখে গরু বোঝাই পিকআপ (সিলেট মেট্রো-ন-১১-২২৬৪) এর সাথে উপজেলার চিকনাগুল থেকে ছেড়ে আসা মোকামপুঞ্জীগামী লেগুনা (সিলেট-ছ-১১-১২৫২) মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ২জন ও জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে ১ শিশু মারা যায়। পরে সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ৩ জন মারা যায়। নিহতরা বেয়াইনের বাড়িতে বৌভাতে যাচ্ছিলেন। গুরুতর আহত ৫ জন সিলেট এম এ জি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাঁটি গ্রামের সন্তোষ পাত্রের স্ত্রী মঙ্গলী পাত্র (৫০), সন্তোষ পাত্রের পুত্রবধু সুচিত্রা পাত্র (৩০), সুচিত্রা পাত্রের কন্যা শিশু বিজলী (০৬), নন্দ পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রী পাত্র (৩২), সুরেন্দ্র পাত্রের মেয়ে ঋতু পাত্র (৭) ও নিপেন্দ্র পাত্রের স্ত্রী শ্যামলা পাত্র (৫৫)। আহতরা হলেন সন্তোষ পাত্রের ছেলে পুশ পাত্র (৪০) পুশ পাত্রের ছেলে জিদান পাত্র (১৮) ও লেগুনা চালক সহ অন্য আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।
পারিবারিক সূত্রে যানাযায়, পুশ পাত্রের মেয়ে অনামিকার শাশুড়ী চ্যামেলি পাত্রের বাড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চিকনাগুল হতে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাচ্ছিলেন দাওয়াত খেতে। সিলেট তামাবিল মহাসড়কের সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সম্মুখে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা গরু বোঝাই একটি পিকআপ তাদের বহনকারী লেগুনা গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে যায়, পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত দুর্ঘটনা স্থলে ছুটে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম সহ পুলিশ ফৌর্স, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা প্রায় তিন ঘন্টা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে স্থানীয় জনতা রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।