আহলান সাহলান মাহে রমজান
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৫:৩১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: দেখতে দেখতে রহমতের দশকের শেষদিনে আমরা এসে পৌঁছলাম। কাল থেকে শুরু হবে মাগফিরাত দশক। নবী করীম সা. একদিন মিম্বরে খুতবা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি থমকে গেলেন। তারপর বললেন আমীন! এভাবে তিনি তিনবার বললেন। খুতবা শেষে সাহাবারা রাসূল সা. কে জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসূল সা. খুতবার সময় আপনি এরকম করলেন কেনো। নবী সা. বললেন, আমি যখন খুতবা দিচ্ছিলাম তখন জিব্রাঈল আ. আমার কাছে এলেন। তিনি বললেন যে ব্যক্তি তাদের পিতামাতাকে জীবিত অবস্থায় পেলো আর তাদের সেবা করে নিজেদের জান্নাত ওয়াজিব করে নিতে পারলো না সে ধ্বংস হোক। আমি বললাম আমিন! এরপর জিব্রাঈল আ. বললেন যে রমজান মাস পেলো আর তার গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারলো না সে ধ্বংস হোক। আমি বললাম আমিন! এরপর তিনি বললেন যে ব্যক্তি কোথাও আমার (রাসূল সা.) নাম শুনলো আর দুরূদ পড়লো না সে ধ্বংস হোক। আমি এবারও বললাম আমিন!
কাজেই প্রসঙ্গত এখানে দেখা যাচ্ছে যে রমজান মাস হচ্ছে গুনাহ মাফের মাস। রমজানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নানানভাবে তাঁর বান্দাদের মাফ করেন। এ মাসে শয়তান যাতে তাঁর বান্দাদের বিপথগামী না করতে পারে এজন্য আল্লাহ শয়তানকে বন্দী করে রাখেন। এ ব্যপারে বুখারী শরীফের ১৭৬৪ নম্বর হাদিসে আবু হুরায়রা রা. বর্ণিত একটি হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে রাসূল সা. বলছেন, ‘ রমজান মাস এলে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয়।’ কাজেই এসময় মূল শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্ত থাকে। বান্দাদের যাতে জাহান্নামে না যেতে হয় সেজন্য জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। সহজ কথায় এত সুযোগ থাকার পর যে গুনাহ থেকে বাঁচতে পারলো না তার ধ্বংস হওয়া ছাড়া আর কিইবা বাকি থাকে। রোজা মানুষকে খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে। মানুষের অভ্যাসে পরিবর্তন আনে। আর তাইতো হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন,‘ গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য রোজা ঢালের মতো’। যুদ্ধের ময়দানে ঢাল যেমন সকল আঘাত থেকে রক্ষা করে রোজা তেমনি মুমিনকে সকল খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করে।
রহমতের পরই শুরু হচ্ছে মাগফিরাতের দশক। আমাদের সবার উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের গুনাহগুলো মাফ করিয়ে নেওয়া। আগের ভুলগুলোর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে সামনের সুন্দর দিনের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা।