মোবারক হো মাহে রমজান
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মার্চ ২০২৪, ৬:৫২:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রমজানের সাথে কুরআনের রয়েছে গভীর এক সম্পর্ক। এই মাসেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন গোটা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করেন। সূরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, রমজান হলো এমন এক মাস যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে। আর কুরআন হলো মানবজাতির জন্য হেদায়াত এবং হক ও বাতিলের মাঝে অর্থাৎ ভালো এবং খারাপের মাঝে পার্থক্যকারী। এই কুরআনের কারণেই রমজানের এত মর্যাদা। তাই রমজান হলো কুরআন চার্চার মাস। এ মাসে মুসলমানদের বেশি করে কুরআনের চর্চা করা উচিত। নবী সা. এবং সাহাবারা এ মাসে কুরআনের চর্চা বাড়িয়ে দিতেন।
রাসূল সা. রমজানে জিবরাঈল আ. কে পুরো কুরআন একবার শোনাতেন এবং জিবরাঈল আ. ও নবী করিম সা. কে অবতীর্ণ পুরো কুরআন একবার শোনাতেন। জীবনের শেষ রমজানে অর্থাৎ দশম হিজরির রমজানে রাসূল সা. জিবরাঈল আ. কে পুরো কুরআন দু’বার শোনান এবং জিবরাঈল আ.ও রাসূল সা. কে পুরো কুরআন দু’বার শোনান। এতে বোঝা গেল রমজান শুধু কুরআন নাজিলের মাস নয় বরং রমজান মাস হলো কুরআন চর্চার মাস এবং সর্বোপরি রমজান মাস হলো জীবনের সর্বক্ষেত্রে কুরআনের অনুশীলন ও বাস্তবায়নের মাস।
তাই আমাদের উচিত রমজানে বেশি করে কুরআনের চর্চা বাড়িয়ে দেওয়া। পরিবেশগত কারণেই আমাদের দেশে রমজানে এ সুযোগ বছরের অন্য মাসের চেয়ে বেশি মিলে। তাই আমরা চাইলেই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারি।