হবিগঞ্জে সিগারেটের ধোঁয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মার্চ ২০২৪, ৭:৪১:৫১ অপরাহ্ন
কারাগার ফটক ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত শতাধিক
স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ শহরতলীতে কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটকে মাস্টার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এতে পিকআপ ও মোটর সাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, ইট পাটকেল নিক্ষেপে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ধুলিয়াখাল পয়েন্টের কারাগার ফটক এলাকায় কেরাম খেলায় বসে মাস্টার বাড়ির আলমগীর ও সেলিম এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের লোকজন। খেলা চলাচলে একটি পক্ষ সিগারেট খেয়ে তার ধোঁয়া ছাড়ে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাক-বিতÐা হয়। এক পর্যায়ে মাস্টার বাড়ির আলমগীর এবং মোল্লাবাড়ির শাহিন ও সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সদর থানার এসআই আবু জাবেরসহ ৭ পুলিশ এবং শতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবিনা আক্তার (৩০), আব্দুল শহিদ (৪৫), জাবেদ মিয়া (৩০), আল মামুন (৩০), নাজিমুদ্দিন (৩০), সফিক মিয়া (৩৫), এসআই আবু জাবের (৪৪), রবিউল হাসান (১৯), শিমুল (২৫), মিজবাহুল হাসান (১৮), ফখরুল ইসলাম (১৮), রাজু মিয়া (৩৬), শরীফুল মিয়া (২৮), আনোয়ার (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (২৬), উজ্জ্বল মিয়া (১৭), শামসুর রহমান (৩৫) ও মিতু মিয়া (২৫) কে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, কেরাম খেলায় সিগারেটের ধোঁয়া ছড়ানোকে কেন্দ্র করে মাস্টার বাড়ি ও মোল্লাবাড়ির লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।