জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার স্বপ্ন দেখছে জুড়ীর রিয়াজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০২৪, ৫:৫০:১১ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীর সম্ভাবনাময় উদীয়মান ক্রিকেটার রিয়াজ জাতীয় ক্রিকেট দলে ডানহাতি নেট বোলার হিসেবে অনেক আগেই জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি এখন স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ভাল কিছু করার।
পুরো নাম মাহমুদুল হাসান রিয়াজ চৌধুরী। রিয়াজ জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিপুর গ্রামের আবুল কাশেম ও সেলিনা বেগম দম্পতির ছেলে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে রিয়াজ দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার বেশ আগ্রহ ছিল। উপজেলার স্থানীয় বাছিরপুর ক্রিকেট একাদশে ক্রিকেট শুরু করেন। পরে নতুন কুড়ি ক্রিকেট একাদশ এবং শাহজালাল স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ক্রিকেটে একক আধিপত্য ধরে রাখেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালক ও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ক্রিকেটার রিয়াজ যদি সম্ভাবনাময় হয় তবে তাকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি রিয়াজ সমানতালে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৭ সালে জুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১৯ সালে জুড়ী টিএন খানম সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করে বর্তমানে ঢাকায় আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করছেন রিয়াজ।
ডান হাতি বোলার রিয়াজ বেটিং ও ফিল্ডিং এ অলরাউন্ডার। বর্তমানে ছুটিতে থাকাবস্থায় প্রতিদিন ১০ ওভার করে দুই ঘন্টা অনুশীলন করেন। রিয়াজ ২০১৮ সালে ক্রিকেট বলে অনুশীলন শুরু করেন এবং ২০২২ সালে ঢাকা ক্রিকেট লীগের হয়ে মাঠে নামেন। ২০২৩ সালে বিপিএলে সিলেট স্টাইকার্স এর নেট বোলার ছিলেন। ২০২৪ সালে ফরচুন বরিশালের নেট বোলারের দায়িত্ব পালন করেন।জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মুসফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয় ও তানজিম শাকিবের মতো ক্রিকেটারদের সাথে রিয়াজের অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে।
রিয়াজ বলেন, ক্রিকেটের পিছনে তার পিতা মাতা ও ভাই বোনেরা সবচেয়ে বেশী অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। পরিবারের সহযোগিতা থাকায় পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ক্রিকেটকে বেছে নিয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট লীগের কোচ এহসান, আম্পায়ার রাকিবুল ইসলাম সোহাগ এবং জিম মাস্টার দেবাশীষ দেবু তাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন।রিয়াজের রড়ভাই হাফেজ জয়নাল আবেদীন হৃদয় চৌধুরী বলেন, ক্রিকেটের প্রতি রিয়াজের আগ্রহ দেখে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে পরিবারের হাল ধরতে প্রবাসে চলে যান।
রিয়াজের বাবা আবুল কাশেম ও মা সেলিনা বেগম বলেন, ক্রিকেটের জন্য সে পুলিশের চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। অনেক প্রতিকুলতা অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে। রিয়াজ একদিন ভাল ক্রিকেটার হয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।