এপ্রিলের শুরুতে তাপপ্রবাহের আভাস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০২৪, ৯:৩৮:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার রাতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝড়ো হাওয়া। আবার রোববারও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।এখন বোরো ফসল মাঠে। আবার আমের গাছে মুকুল থেকে গুটি হওয়া শুরু হয়েছে। উভয়ের জন্যই এই বৃষ্টি ইতিবাচক বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।প্রতি মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তর পুরো মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। এ মাসের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছিল, স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। আবার দেশের মধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে অবশ্য বৃষ্টি কম হয়েছে। আবার কয়েকটি জেলায় মৃদু আকারে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি।মার্চ মাসে দেশে গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৫২ দশমিক ৪ মিলিমিটার। দেশের সার্বিক বৃষ্টিপাত এখনো সেই গড় পার করে গেছে কি না, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র তা জানাতে পারেনি।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, এ সময়টায় বৃষ্টি হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। পশ্চিমা বাতাসের সঙ্গে থাকে শুকনো এবং ঠান্ডা হাওয়া। এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া দক্ষিণি গরম হাওয়া মিলে মেঘের সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হয় তখনই।স্থানীয়ভাবেও অনেক সময় প্রচুর আর্দ্রতা সৃষ্টি হয়ে তা বৃষ্টি ঘটায়। এ বৃষ্টি হয় সাধারণত বিকেল বা রাতের দিকে। যেমন শনিবার রাতের বৃষ্টি।আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, তাপের সঙ্গে যমুনা নদী থেকে বয়ে আসা আর্দ্রতা মিলে মেঘের সৃষ্টি আর তাতেই হয়েছিল বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এ মাসের বাকি কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হবে। কালবৈশাখীও হতে পারে। এতে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় থাকবে।আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, এ মাসে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম থাকলেও আগামী এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, এপ্রিলের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ হতে পারে। তবে তা তীব্র না-ও হতে পারে।
এদিকে এখন বোরো ধান ফলনের সময়। এ ধানে ব্যাপক সেচের দরকার হয়। সেই সেচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ পানি নির্ভর। তবে এ বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধানের জন্য তা খুব উপকারই হবে বলে মনে করেন কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায়। তিনি বলেন, ধানের পাশাপাশি এখন আম গাছে গুটি এসে গেছে। এখন বৃষ্টি হলে আমের আকার বড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।