উলামা মাশায়েখ পরিষদের ইফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০২৪, ৭:১৪:৩৯ অপরাহ্ন
ইলম আমল ও ঐক্যের শক্তিকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে : ড. খলীলুর রহমান
বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের জেনারেল সেক্রেটারি ড. শায়খ খলীলুর রহমান মাদানী বলেছেন, ইলম, আমল ও ঐক্যের শক্তিকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। যুগ যুগ ধরে এই অনন্য তিনটি গুণাবলীর মহিমায় উলামায়ে কেরাম আদর্শের উজ্জ্বল নজির স্থাপন করে গিয়েছেন। ইলমে দ্বীনের রাজ্যে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে হবে। আমল আখলাক, চলাফেরা, ওঠাবসা, লেনদেন তথা চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে জাতিকে আলোর দিকে ডাকতে হবে। তুচ্ছ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে অনৈক্য আর অশান্তি তৈরি কোনো আলেমের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। ঐক্যবদ্ধভাবে দাওয়াতে দ্বীনের ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বুধবার উলামা মাশায়েখ পরিষদ সিলেট আয়োজিত মাহে রামাদ্বানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।উলামা মাশায়েখ পরিষদ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবীবুর রহমান, পরিষদের উপদেষ্টা হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা সোহেল আহমদ, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী।
আলোচনা পেশ করেন হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফিজ মাওলানা মিফতাহুদ্দীন আহমদ, পরিষদের সেক্রেটারি ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলায়মান, বাংলাদেশ মসজিদ মিশন সিলেট মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ অলিউর রহমান সিরাজী, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা পাঠানটুলা, সিলেটের মুহাদ্দিস মাওলানা হাবীবুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব ক্বারী মাওলানা মতিউর রহমান, ওসমানীনগর আইডিয়াল একাডেমির প্রিন্সিপাল মাওলানা সাদিক সিকানদার ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন সিলেট বিভাগের সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী।
উপস্থিত ছিলেন ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি আলী হায়দার, সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আ স ম আলা উদ্দীন, আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুন নূর, মাওলানা মাহবুবুর রহমান নোমানী, মাওলানা আবুশ শহীদ, মাওলানা মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা মখছুছুল করীম চৌধুরী, মাওলানা আসাদুর রহমান, মাওলানা আবু সালেহ মুসা, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা মুজিবুর রহমান, হাফিজ মাওলানা জিল্লুর রহমান, মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা খলীলুর রহমান, হাফিজ মাওলানা মুখলিসুর রহমান, হাফিজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাফিজ মাওলানা আব্দুল বাসিত ও মাওলানা হেলাল আহমদ প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসহাক আল মাদানী বলেন, ইখলাসের সাথে দাওয়াতে দ্বীনের ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে। ইকামাতে দ্বীনের পথে যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করে ভূমিকা পালন করা জরুরী। মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে। প্রদর্শনেচ্ছা থেকে নিজেদেরকে হেফাযতে রাখতে হবে।
মাওলানা হাবীবুর রহমান বলেছেন, সহীহ নিয়্যাত নিয়ে উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। হাফিজ আব্দুল হাই হারুন বলেন, দ্বীনের প্রচার প্রসারের পাশাপাশি দ্বীনের প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় আমাদেরকে আরও বেশী তৎপর হওয়া উচিৎ। মাওলানা সোহেল আহমদ বলেন, সময়োপযোগী ভূমিকা পালনে আমাদেরকে সচেষ্ট থাকা উচিৎ। সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে।
অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী বলেন, মানবতার কল্যাণে আমাদেরকে নিবেদিত হওয়া উচিৎ। সমাজসেবামূলক কাজকর্মে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী বলেন, প্রকৃত আলেমেদ্বীন হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে পথচলা অব্যাহত রাখতে হবে। বিজ্ঞপ্তি