জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৬ জন নিহত, তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০২৪, ৯:০২:৫১ অপরাহ্ন
জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে ঘটেছে।এদিকে, একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইন উদ্দিন জানান, ভোর ৫ টায় পল্লী বিদ্যুতের লাইনে আগুন লেগে লাইন ছিঁড়ে ফয়জুর রহমানের টিনের ঘরের চালে পড়ে ঘরের টিনে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘরে আগুন লেগে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে এবং আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে।
নিহতরা হলো, ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী সিরি বেগম (৪৫), মেয়ে ছামিয়া বেগম (১৫), সাবিনা বেগম (১৩), সোনিয়া বেগম (১০) ও একমাত্র ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)। গুরুতর আহতাবস্থায় সোনিয়া বেগমকে (১০) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে তাকে ঢাকায় নিয়ে গেলে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
বড়লেখা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সুহেল রানা চৌধুরী বলেন, বজ্রপাত ও ঝড় বৃষ্টির কারণে সারা রাত লাইন বন্ধ ছিল। ভোর ৫ টায় লাইন চালু করা হয়। তখন বজ্রপাতে বিদ্যুৎ লাইনে আগুন লেগে ১১ হাজার কেভি লাইন ছিঁড়ে টিনের চালে পড়ে যাওয়ায় ঘটনাটি ঘটে। তিনি বলেন, এখানে বিদ্যুতের লাইন আছে ১২/১৩ বছর থেকে। লাইনের নিচে ঘরটি বানানো হয় ৬/৭ বছর আগে। তখন লাইনের নিচ থেকে সরিয়ে ঘর বানাতে বলা হয়েছিল।
পূর্ব জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। জুড়ী থানার ওসি তদন্ত হুমায়ূন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ সমঝে দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটি গঠন: এদিকে, মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম।মঙ্গলবার গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আব্দুস সালাম চৌধুরী এবং সদস্য পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফজলুর রহমান ও কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ।
তদন্ত কমিটি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। কমিটি প্রয়োজনে যে কোনো কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে কো-অপট করতে পারবেন। জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার মৃত পরিবারের অনুকূলে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।
+