গ্যাসে নতুন আশা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪:৩১ অপরাহ্ন
কৈলাশটিলায় ২ কোটি ঘনফুট উৎপাদনের সম্ভাবনা
জালালাবাদ রিপোর্ট : দেশে গ্যাসের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন গড়ে আমদানি করা হয় ২৩০ কোটি ঘনফুট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর ঘাটতি পূরণে সরকার ৪৬টি কূপ খনন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। যা থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে দৈনিক ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের আশা করছে পেট্রোবাংলা। এরমাঝে সিলেটের কৈলাশটিলা থেকে ২ কোটিরও বেশি ঘনফুট উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা অনুযায়ী, সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস কূপ থেকে আগামী চার মাসের মধ্যে দৈনিক ২ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে। সে লক্ষ্যেই কূপগুলোর খনন কাজ চলছে।
সরকারি মালিকানাধীন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কৈলাশটিলায় নতুন গ্যাসের সন্ধানের সংবাদ দেয়া হয় ২০২২ সালে। সেসময় জানানো হয়, আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের কৈলাশটিলা ৭ নম্বর কূপে দৈনিক প্রায় দুই কোটি ঘনফুট গ্যাস আবিষ্কার হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের টার্গেট হলো ৪৬টি কূপ থেকে প্রায় ৬০০ এমএমসি গ্যাস আমাদের পাইপলাইনে আনা। বাপেক্সের সবগুলো রিককে এখন কাজে লাগানো হচ্ছে। নিজস্ব কেনা রিক। তাই সাশ্রয়ীভাবে এটা আমরা ব্যবহার করতে পারি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কৈলাশটিলা ফিল্ডের লোয়ার গ্যাস স্যান্ড জোনের অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ ৭৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট এ গ্যাস বিভিন্ন কূপের মাধ্যমে উৎপাদন করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সমান্তরাল ও উপরনিচ উভয়ভাবেই অনুসন্ধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ ড্রিলিং করতে পারলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আমরা আশাবাদী, যে কটা কাজ বাপেক্সকে (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড) দেয়া হয়েছে, তারা সময়মতো সেগুলো শেষ করতে পারবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থল ও সমুদ্রে আরও আগে জোরেশোরে গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করা গেলে চলমান সংকট অনেকটাই কমে যেতো।
জ্বালানী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দুর্বলতা বা ভুলটা হয়েছে যে, আগে আমরা এই কাজগুলো গ্রহণ করিনি। এতোদিন বসে ছিলাম। এখন আমরা টের পেয়েছি বসে থাকাটা ঠিক হয়নি, নিজস্বভাবেই এটা করা যায়। এর ফল পেতে কিন্তু তিন চার বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই কাজটা যদি পাঁচ বছর আগে করা যেতো, তাহলে গ্যাসটা এখন পাওয়া যেতো। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলায় সমুদ্রে দ্রুতই অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরুর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।