নগরে সচল ১১১ চোখ, ধরা পড়বে ছিনতাইকারী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০২৪, ৭:৫০:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরের ১১১টি পয়েন্টে তাকিয়ে আছে সিসিটিভি ক্যামেরার চোখ। এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় বসে পুলিশ সেই ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করছে। সিসিটিভির ক্যামেরার আওতাধীন এলাকায় ছিনতাই হলে ধরা পড়ছে অপরাধীরা। গত মাসেও সচল থাকা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ১৫টি অপরাধের আসামিরা গ্রেফতার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এবার আর ছিনতাই নয়, নগরের শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করবে এই ক্যামেরা। কোথায় হকার বসছে, সিএনজি কিংবা লেগুনা অটোরিকশা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে- সবই মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরে ছিনতাই রোধে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সময়কালে বিভিন্ন পয়েন্টে ১১১টি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়। এরমধ্যে ছিল ১০টি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা। ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ধীরে ধীরে অধিকাংশ ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নিতে কয়েকবার অনুরোধ জানালেও তৎকালীন সময়ে সিটি করপোরেশন তাতে সায় দেয়নি। ফলে ডিজিটাল নগরীর ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পর এসএমপি’র পক্ষ থেকে ফের একই অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি জানার পর মেয়র মেরামতের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সচল হয়েছে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে লাগানো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। মেয়রের আন্তরিকতায় সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিক কর্মকর্তারা।
সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করতে এসএমপি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সংস্কার করে সচল করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করবে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে নগরীর অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। কোতোয়ালি থানা থেকে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান জানিয়েছেন, অপরাধী শনাক্ত করতে সিসিটিভির ফুটেজ কার্যকর ভ‚মিকা রাখছে। অতীতে এই ক্যামেরা ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে পাওয়া গেছে। এখন নগরের শৃঙ্খলা ফেরাতে এই ক্যামেরা ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি নগরের যানজটের অবস্থাও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যাবে। কোথাও যানজট বেশি হলে মনিটরিং রুম থেকে তাৎক্ষণিক ট্রাফিক বিভাগকে অবগত করা হবে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে সম্ভব হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেটিকে আরো আধুনিকায়ন করে স্মার্ট নগরী গড়তে কাজ করে যাাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্য-প্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায় যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিল না। এই নজরদারি সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরীকে আরো স্মার্ট নগরীতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা প্রদানে সবার সহজ হবে।