কবি এ কে শেরামকে সিওমেক মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সংবর্ধনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২৪, ৮:৫৯:৪০ অপরাহ্ন
বাংলা একাডেমী সাম্মানিক ফেলোশিপ অর্জনে কবি এ কে শেরামকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ। শনিবার উক্ত বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণিকক্ষে কবিকে সম্মাননাসূচক উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং মনোরোগবিদ্যা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত এলামনাই স্মারকগ্রন্থ ‘মনের দেউড়ি’ও তাঁর হাতে তুলে দেয়া হয়। এসময় ‘কবি এ কে শেরামের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য’ পাঠ করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের রেসিডেন্ট চিকিৎসক কবি বাপ্পা আজিজুল। ‘একটা কিছু ঘটবেই’ শিরোনামে কবির লেখা কবিতা পাঠ করেন ডা. মেহেরাজ শারমিন। কবি এ কে শেরাম নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নিজের পঞ্চাশ বছরের কবিতা যাপনের আলোক-পুলক শিহরণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। স্বরচিত ‘মানুষ’ কবিতাটি তিনি আবৃত্তি করে শোনান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আর কে এস রয়েল। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুস্মিতা রায়, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমদ রিয়াদ চৌধুরী; শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডা. মোঃ মুবিন উদ্দিন, নর্থ ইস্ট মেডিকেলের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল্লাহ সাঈদ এবং সিওমেক মনোরোগবিদ্যা বিভাগের রেসিডেন্ট চিকিৎসকবৃন্দ। এর আগে কবি এ কে শেরাম মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চিকিৎসক ডা. বাপ্পা আজিজুলের এমডি কোর্সের থিসিস- স্কেল এডাপ্টেশন ও ভ্যালিডেশন সংক্রান্ত এক্সপার্ট কমিটি রিভিউ মিটিংএ বহুভাষাবিদ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ও বিশেষজ্ঞ মতামত দেন।
উল্লেখ্য কবি এ কে শেরাম একজন সব্যসাচী লেখক। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় জন্ম নেয়া এই কবি সাহিত্যের মাধ্যমে আপন সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ মণিপুরী ভাষা ও লোকসাহিত্যকে বাংলা ভাষাভাষীর কাছে তুলে ধরেছেন। অর্ধ শতাব্দীকালের বেশি সময় ধরে তিনি নিরলসভাবে সাহিত্য যাপন করছেন। তাঁর লিখিত বই ৪০ টির অধিক। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের মণিপুর রাজ্য থেকে ছয়টি এবং আসাম রাজ্য থেকে দুইটিসহ মোট ২৩টি অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন। সম্প্রতি (২০২৩) তিনি বাংলা একাডেমী সাম্মানিক ফেলোশিপ অর্জন করেন। সত্তর দশকে স্থাপিত বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদের আজীবন কর্ণধার কবি এ কে শেরাম। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সিলেট জেলা সংসদ; মণিপুরী ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, সিলেট; জাতীয় কবিতা পরিষদ, সিলেট; প্রথম দিনের সূর্য, সিলেট ও প্রগতি লেখক সংঘ, সিলেটসহ বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। বিজ্ঞপ্তি