রমজানে উন্নয়ন কাজ : যানজট, দুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রমজানের দ্বিতীয় দশকের শেষে এসে বেড়েছে ঈদ বাজারের চাপ। এরইমাঝে নগরের একাধিক স্থানে চলছে নগরীর উন্নয়ন কাজ। এতে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
এমনিতেই প্রায় নগরজুড়ে রাস্তা বন্ধ করে কিংবা অর্ধেক রাস্তা বন্ধ করে উন্নয়ন কাজে কয়েকমাস ধরেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী। এরমধ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে নগরীর করিমউল্লাহ মার্কেটের বিপরীত দিকে লালদীঘি পার সড়কের মুখেই খোঁড়ার কাজ। রোজার এই সময়ে এই কাজ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও পথচারীরা। এই পয়েন্ট ধরেই মূল সড়ক হয়ে পূর্ব সিলেটের সাথে যোগাযোগ। একসাথে অনেকগুলো গন্তব্যে যাওয়া আসা হয় এই সড়ক দিয়ে। ফলে রাত দিন সারাক্ষণই এই সড়ক ব্যস্ত থাকে। ব্যস্ত এই সড়কে ঈদের বাজারের ভরা মৌসুমে এমন খোঁড়াখুড়ি বাঁধিয়েছে দীর্ঘ যানজটের। লালদীঘির এই সড়ক দিয়েই কালীঘাট ও মহাজন পট্টি থেকে পাইকারী মালামাল নিয়ে অনেক ছোটো বড়ো পিকআপ ট্রাক বের হয়। যাদের গন্তব্য কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাটসহ পূর্বাঞ্চলে। কোনো কোনো গাড়ি সোবহানীঘাট হয়ে শাহজালাল ব্রিজ হয়ে চলে যায় গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জের দিকে। একইভাবে এসব এলাকার লোকজন নিত্যপণ্য ছাড়া অন্য ধরনের বাজার করতে সিলেট আসতে ব্যবহার করেন এই সড়ক। তাই করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
শনিবার সরেজমিন দেখা যায় দুপুরের পর থেকেই পুরো নগরজুড়েই যানজট লেগে ছিল। ব্যস্ততম পয়েন্ট জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, লামাবাজার, বরুতখানা, জেলরোড, নয়াসড়কসহ প্রতিটি সড়কে যানবাহনের গতি ছিল ধীর। বিকেলের পর থেকে তা যানজটে পরিণত হয়। তবে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা ছিল বন্দরবাজার সোবহানীঘাট সড়কের করিমউল্লাহ মার্কেটের বিপরীত দিকে রাস্তার। একদিকে লালদীঘি থেকে বের হওয়া মালবাহী পিকআপ ও অন্যান্য রিকশা গাড়ি, অন্যদিকে সোবহানীঘাট, ধোপাদীঘি পয়েন্ট হয়ে আসা পূর্বাঞ্চলের সিএনজিসহ লোকজন বহনকারী অন্যান্য এসে জটলা বেধেছে করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনে। এতে দীর্ঘসময় এই রাস্তায় তৈরি হয় যানজট। মূলত রাস্তার একদিকে খেঁাঁড়াখুঁড়িতেই এই সমস্যা বলে অভিযোগ করে প্রত্যক্ষদর্শীরা। যানজটে আটকা এক যাত্রী বলেন, ঈদের বাজারে এমনিতেই লোকজনের ভিড় থাকে। আর এই রাস্তা দিয়ে শহরের বাইরের লোকজন বিশেষ করে জৈন্তা কানাইঘাটের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সিলেট আসা যাওয়া করেন। তাছাড়া একাধিক পাইকারী বাজারের অবস্থান এই এলাকায়। এমন একটা রাস্তায় রোজার এই সময় কাজ শুরু করার কী দরকার ছিল? এতে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অন্যদিকে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। বিকল্প কোনো পথও নেই যে অন্যদিকে ঘুরে যাওয়া যাবে। নগর কর্তৃপক্ষের এই কান্ডজ্ঞান নিয়ে আমরা বিস্মিত।