সরবরাহ বাড়িয়ে দাম কমাতে হবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ৯:২০:০৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ তৈরি করেই দাম কমাতে চাই, পুলিশ দিয়ে নয়। রোজার মধ্যে এটা কিন্তু এখন প্রমাণিত। যদি আমরা বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থা রাখতে পারি, দুই-চারজন চাইলেও বাজার ব্যবস্থাপনাকে নষ্ট করতে পারবে না। মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন আমরা পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাফার স্টক তৈরি করছি টিসিবির মাধ্যমে। যা বাজারে পণ্যের বিকল্প সরবরাহ বাড়াবে। ভারতের সামনে নির্বাচন, কৃষকরা বিদ্রোহ করেছে, তারা কিন্তু পেঁয়াজ সব দেশে রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। তারপরও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে তারা আমাদের পেঁয়াজ দিয়েছে।
আমাদেরও এ পেঁয়াজ আনার মধ্যে অনেক ঝুঁকি ছিল। ফাইনালি আমরা যখন ভারতের অনুমতি পেলাম তখনও অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কারণ দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায় কি না। আবার রোজা শেষ হওয়ার আগে আসবে কি না। তারপরও আমারা এ ঝুঁকি নিয়েছি। আমি মনে করি ঝুঁকিটা সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
এ পেঁয়াজ ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলার প্রতি টন বিক্রি করছে। আমাদের জন্য দাম ছিল ৮০০ ডলার। তারপরও আমরা সেটি ক্যালকুলেশন করে দেখলাম এ দামে দেশে পেঁয়াজ নিয়ে এসে আমরা বিক্রি করতে পারবো না। এরপর আমরা আবার নেগোসিয়েশন করেছি, যে কারণে পেঁয়াজটি আনতে দেরি হয়েছে। রোজার প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজ আসার কথা থাকলেও সেটি হয়নি।
বাজারদর বিবেচনায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিসিবির কার্ডধারী পরিবারের পাশাপাশি সব ভোক্তা এ পেঁয়াজ দুই কেজি করে কিনতে পারবেন। আহসানুল ইসলাম বলেন, আমদানি করা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৫০ টন এসেছে। এ পেঁয়াজ ঢাকা মহানগরীর ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরে খোলাবাজারে বিক্রয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগে. জেনা. মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এম এইচ এম সফিউজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।