ইফতারেও মিলছেনা বিদ্যুৎ!
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গ্রীষ্ম মৌসুম শুরুর আগেই ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সিলেট। লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ ছাড়াই ইফতার করতে হচ্ছে নগরীর বহু এলাকার রোজাদার নাগরিককে। পবিত্র রমজানের দিনেও নগরীতে দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামে এখন বিদ্যুৎ যায়না বরং মাঝে মাঝে আসে। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার বেশি। এতে বিপর্যস্ত জনজীবন। দিনদিন লোডশেডিং এর তীব্রতা বাড়ছে। এজন্য চাহিদার বিপরীতে কম সরবরাহ দায়ী করছেন সিলেটের বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। এই অবস্থা থেকে শীঘ্র্ই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তারা।
জানা গেছে, রমজানের শেষ দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় সিলেটে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। সর্বশেষ রোববার দিবাগত রাতে কালবৈশাখী ঝড় ও অস্বাভাবিক শিলাবৃষ্টিতে সিলেটে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। সিলেট নগরী ও আশপাশের উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক হলেও এখনো সিলেট বিভাগের অনেক উপজেলার বেশকিছু এলাকা ৩ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন। এদিকে সোমবার থেকে সিলেটের লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়, দিনভর কয়েক ঘন্টা লোডশেডিং থাকার পরও ইফতারে বিদ্যুৎ পাননি নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ। মঙ্গলবার আরো বাড়তে থাকে লোডশেডিং। এদিন ইফতারের সময়ও নগরীর অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলনা। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়েছেন গৃহিনীরা।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সিলেটে লোডশেডিং বেড়েছে। ঈদের আগে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার সিলেট বিভাগে ৪৯৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয় ৪৬০ মেগাওয়াট। ফলে বিভাগে ৩৭ মেগাওয়াট অর্থাৎ ৩২% লোডশেডিং করা হয়। যদিও মঙ্গলবার দিনরাত মিলে ৭-৮ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে।
পিডিবি আরো জানিয়েছে, এর আগে সোমবার সিলেট বিভাগে পিডিবির চাহিদা ছিল ২০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের। এর বিপরীতে সরবরাহ করা হয় ১২৬ মেগাওয়াট। ফলে বিভাগে ৭৮ মেগাওয়াট অর্থাৎ ৩৮% লোডশেডি করতে হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে সিলেট জেলায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয় ৯২ মেগাওয়াট। ৫৮ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকায় এই সময়ে লোডশেডিং হয়েছে ৩৮%।
এদিকে মঙ্গলবার সিলেট জেলায় ৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া যায় ৭২ মেগাওয়াট। ফলে জেলা ২০ মেগাওয়াট অর্থাৎ ২৮% লোডশেডিং করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশে ক্রমাগতভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু চাহিদামতো বাড়ছেনা উৎপাদন। ফলে দেশে বাড়ছে লোডশেডিং। বর্তমান লোডশেডিং কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হয়। ঈদের ছুটি শুরুর আগ মুহুর্তে লোডশেডিং কমার সম্ভাবনা নেই।