দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়াকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : রূপপুরে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রোসাটমকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা রোসাটমকে বলেন, চলমান প্রকল্প শেষ হলে রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বর্তমান সরকার। নতুন দুটি ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কারিগরি জরিপ করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের জ্বালানি বর্জ্য রাশিয়ায় ফেরত নেওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
রোসাটমের মহাপরিচালক প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদিত পারমাণমিক জ্বালানি বর্জ্য রাশিয়ান ফেডারেশনকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রাশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা যথাসময়ে সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক জ্বালানি বর্জ্য রাশিয়ায় ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা ও মস্কোর মধ্যে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি সই হয়েছে।
রোসাটমের মহাপরিচালক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদনে যাবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় নতুন দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট (ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪) নির্মাণের জন্য রুশ সরকারের কাছে প্রস্তাব করেন তিনি। এসময় মহাপরিচালক বলেন, প্রথম দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেই নতুন ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪ এর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে রোসাটমের মহাপরিচালক আরও বলেন, বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর সম্প্রসারণ আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং কারিগরি ও পারমাণবিক নিরাপত্তার আলোকে অধিকতর লাভজনক ও যুক্তিসঙ্গত, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রকল্পে বাংলাদেশ ও রাশিয়ানসহ প্রায় আড়াই হাজার কর্মী কাজ করছেন। একই সঙ্গে তারা দক্ষতাও অর্জন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বাংলাদেশের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে রোসাটমের মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট চালু হবে। ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ থেকে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।