সড়ক নিরাপত্তা জোরদারে ৭ সুপারিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : সড়ক ব্যবহারকারীরা যাতে নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সে লক্ষ্যে সরকারের কাছে সাতটি সুপারিশ করেছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।
ঈদ সামনে রেখে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সভায় এই সুপারিশ উত্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির রোড সেফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।
সুপারিশসমূহ হলো- সড়ক দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ হলো যানবাহনের অনিয়ন্ত্রিত গতি। সড়ক ও পরিবহণের ধরন অনুযায়ী গতি নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত গাইডলাইন অতিসত্তর প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়েরই মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত এনফোর্সমেন্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে, যানবাহনে চালকসহ সব যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রণয়ন করতে হবে।
পাশাপাশি মোটরযানে (বিশেষ করে কার/জিপ/মাইক্রোবাসে) শিশু সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে শিশুদের জন্য উপযুক্ত শিশু সুরক্ষিত আসন ব্যবস্থা প্রচলনসংক্রান্ত বিধিবিধান জারি করতে হবে, মদ্যপ অবস্থায় বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে মোটরযান পরিচালনা না করা সংক্রান্ত বিধিবিধান বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে করে কেউ মদ্যপ অবস্থায় মোটরযান চালিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা না ঘটায়, সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য নিয়ে যেহেতু বিভ্রান্তি রয়েছে সেহেতু সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রদানে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনাগুলো বিবেচনায় এনে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যেহেতু বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮তে সড়ক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা বিষয়টি অনুপস্থিত, সেহেতু বিশ্বব্যাপী সমাদৃত সেফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচের আদলে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। পরিশেষে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং এ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধনের জন্য একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে।