অনবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ৭:৪৩:২২ অপরাহ্ন
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, দেশের অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক আছেন যাদের চাষের জমি নাই কিন্তু অনেক বিত্তবান মানুষের অসংখ্য জমি সারা বছর অনাবাদি পড়ে থাকে। সমবায় সমিতির মাধ্যমে এ দুই শ্রেণির মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করতে হবে। এতে দেশে যেমন অনাবাদি জমির পরিমান কমবে তেমনি কৃষি চাষাবাদের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। যার ফলশ্রুতিতে দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং তার পাশাপাশি প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিশ্বনাথ আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ রাসায়নিক সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লাসহ প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকদের সম্মানিত করেছেন উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ স্লোগানে দেশের কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব উল্লেখ করে তিনি আরো, কৃষকরা যাতে কৃষি চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ হয় এর জন্য বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রাংশ ও সার- বীজে ভর্তূকি দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে আধুনিক ও স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা ও চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের অবিহিত করা হচ্ছে।
দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কৃষকদের অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা বেকার না থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আধুনিক কৃষিতে মনোনিবেশ করুন। অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে বিদেশে না গিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষিকাজ করে দেশের উন্নয়ন ও নিজেদের স্বাবলম্বী করার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলার মোট ২২০০ জন কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হবে। বিজ্ঞপ্তি