চৈত্রের কালবৈশাখীতে সিলেটে অস্বস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৫৫:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: চৈত্র মাস মানে খরতাপ। ফাল্গুনের মৃদু শীত আর বাতাসের দোলা শেষ হতে না হতেই চৈত্র আসে তাপ ছড়াতে ছড়াতে। এটাই বাংলাদেশের আবহাওয়ার স্বাভাবিক চরিত্র। এ বছর সিলেটে আবহাওয়ার এই চরিত্রে খানিকটা ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে। চৈত্রমাসের প্রথম দিনেই বৃষ্টি হয়েছে। আর চৈত্রের শেষ বেলায় কালবৈশাখী হানা দিয়েছে। এতে মানুষের মাঝে বিরাজ করছে অস্বস্তি।
গতকাল শুক্রবারও সকাল থেকেই সিলেটের আকাশ ছিল মেঘলা। কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টিও হয়েছে। এরপর অবশ্য আকাশ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। দেশের আরও কয়েকটি স্থানে এমন মেঘলা আকাশ ছিল।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে অনেকটা বৃষ্টিও হয়েছে। তবে এ বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম। আজ শনিবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।আগামীকাল রোববার আবার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় সিলেটে ৭৮ মিলিমিটার। আজও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, সিলেটে ঝড়ো হাওয়ার সাথে শিলাবৃষ্টির ভয়াবহতা বেড়েছে। এতে ব্যাপক হারে ঝাঝরা হয়েছে টিনের ঘর। এতে করে সিলেটে টিনের বাজার এখন জমেছে বেশ। যানবাহন ও ফল-ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, সাধারণত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের যেকোন সময় শিলাবৃষ্টি হতে পারে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্রাক মৌসুম বলা হয় বলেও জানান তিনি। এ মৌসুমে সিলেট অঞ্চলে যে ধরনের কালবৈশাখী হয় সেসব কাল বৈশাখী চারটি জিনিস অন্তর্ভুক্ত থাকে, সেগুলো হল শিলা, বৃষ্টি, অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বজ্রপাত। এই তিন মাসে গুলিতে পশ্চিম আকাশে মেঘের রঙ কালো দেখলেই আমাদের ধরে নিতে হবে এই চারটি জিনিসই হতে পারে।