তাহিরপুরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫:৫১:৪১ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি: ভারতের কয়লা গুহায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে জজ মিয়া (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের ২০ জন আহত হন। রোববার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে চারাগাও বালুর চরে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। এই ঘটনায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ এর ত্রিশাল এলাকার বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মোঃ আছমত আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৫০) ও একই গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে ফখর উদ্দিন (৩০)। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রোববার সকালে অবৈধভাবে চোরাই পথে ভারতের কয়লা গুহায় যায় লালঘাট গ্রামের আলকাছের ছেলে মুছা মিয়া (২২), বাচ্চু মিয়া (৪৫), শরিফুল ইসলাম (২৮)সহ ১০-১২ জনের একটি দল। সেখানে গিয়ে আলকাছের ছেলে মুছা মিয়ার সাথে বাচ্ছু মিয়ার ছেলে রাজা মিয়ার ঝগড়া হয়। পরে মুছা মিয়া বাংলাদেশে আসলে চারাগাও বালুর চরে কিতাব আলীর ছেলে জজ মিয়া (৪০) ঝগড়ার কারণ জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাচ্চু মিয়া, বাবুল মিয়া, খুরশেদ মিয়া, সুরাত মিয়াসহ ১০জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে জজ মিয়া ও বাচ্চু মিয়ার লোকজন এগিয়ে আসলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে জজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত জজ মিয়া রাত ১১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহতের আত্মীয় বাচ্চু মিয়া।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে রাতেই এই ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।