এলো খুশীর ঈদ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ৮:০০:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আজ বিকেল থেকে অগণিত দৃষ্টি আকাশে খুঁজবে এক ফালি বাঁকা চাঁদ। হয়তো দেখা যাবে, হয়তো না। আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ, নয়তো পরশু।কাঙ্খিত সেই চাঁদের দেখা মিললে দেশবাসী মাতবে ঈদ আনন্দে। সরকারি ঘোষণার পাশাপাশি টিভি-বেতারে বাজতে শুরু করবে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের কালজয়ী সেই গানের সুর ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ…’ । পাড়া-মহল্লার মসজিদ থেকে ভেসে আসবে ‘ঈদ মোবারক’ ধ্বনি।
ঈদের দিনটি ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ-নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। এদিক থেকে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, উদ্ভাসিত হয় ইসলামের সাম্যের এক বড় পরিচয়।চাঁদ দেখার পর ঘরে ঘরে উপাদেয় খাবারের আয়োজনে তোড়জোড় শুরু হবে। থাকবে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, পোলাও-কোরমাসহ সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। বিশেষ আয়োজন থেকে বাদ যাবেন না রোগী, বন্দী বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত কর্মীরাও।
ঈদ উৎসব শুরু হয় মূলত সকালে মসজিদ বা খোলা ময়দানে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে। এরপর খাওয়া-দাওয়া, বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ এবং নানা আয়োজন-অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তা পূর্ণতা পায়।
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানদের মনেও বইছে আনন্দ হিল্লোল। ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১-এই টানা তিন বছর করোনা মহামারির দরুন বিশ্বের মুসলমানরা শান্তি ও স্বস্তিতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। কিন্তু গত দুই বছর ধরে মহামারির প্রকোপ কমে আসায় গোটা বিশ্বে আবারো স্বস্তি দেখা দিয়েছে, মুসলমানেরা তাই আনন্দ ও স্বস্তির মধ্যে ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন। ঈদের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন প্রায়। অনেকে ব্যস্ত আছেন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায়।
ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য কেন্দ্র এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সাজবে রঙিন সাজে। এবার ঈদে টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সরকারী চাকুরীজীবীরা। ছুটি পাবে গণমাধ্যম কর্মীরাও। তাই অনেকেই এই ছুটিতে বেড়াতে যাবেন। পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোও এবার হয়ে ওঠবে আনন্দমুখর। ঈদুল ফিতরে বিত্তবান মুসলমানরা দরিদ্র মানুষকে ফিতরা দেবেন। এটা ইসলামের বিধান। এভাবে ভাগাভাগি করে নেয়া হবে ঈদের অমলিন আনন্দ। এতে দৃঢ় হবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সম্প্রীতি।
ঈদের আনন্দ সকলের মাঝে সঞ্চারিত হোক সমানভাবে। বিশ্ব হয়ে ওঠুক শান্তি ও আনন্দের উপগ্রহ। পবিত্র ঈদুল আজহার প্রাক্কালে এই প্রার্থনা ও প্রত্যাশা আমাদের। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।