ঈদে ভিন্ন গল্প গাজায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মুসলিম বিশ্ব যখন খুশির ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন গাজাবাসী অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে। তাদের চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তূপ। বসবাসের উপযোগী কোনো স্থাপনা চোখে পড়ে না। পেটে খাবার নেই তাদের। অসুখে নেই ওষুধ। আছে বোমাতঙ্ক। চোখেমুখে হতাশা।এক মাসের সিয়াম সাধনার পর আসছে ঈদ। আর ঈদ মানেই নতুন জামা, সকালের নামাজ, স্বজনদের আনন্দ ভাগাভাগি করা। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে সে আনন্দ বহাল থাকলেও, ভিন্ন গল্প গাজার। সেখানে এবারের স্বজন হারানোর বেদনা, বোমায় বিধ্বস্ত মসজিদের দুঃসহ স্মৃতি। পিছু ছাড়ছে না ক্ষুধা, বাবা-মা, ভাই-বোনের মৃত্যুর শঙ্কা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে। প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি ২৩ লাখ মানুষ।জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও বন্ধ হয়নি ইসরায়েলি হামলা। এতে বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে ঈদে শুভেচ্ছা উপহার নয়, গাজাবাসী চাইছেন যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ।
মিশরের রাজধানী কায়রোতে যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছে তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। মিশরীয় মিডিয়া থেকে বলা হচ্ছে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের দাবি অব্যাহতভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ইসরাইল।
দক্ষিণের খান ইউনুস থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর গাজাবাসী তাদের বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফেরা শুরু করেছেন। যেপথে তারা হাঁটছেন, চোখে যতদূর দেখতে পান- সবটাই ধুলোবালির স্তূপ। কে বলবে মাত্র ৬ মাস আগেও এসব স্থানে জনবসতি ছিল! মানুষের কলরবে মুখরিত হতো পথঘাট, হাটবাজার, স্কুল! ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, রোববার গাজা থেকে যেসব ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাদেরকে ভবিষ্যত অপারেশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। বিশেষ করে দক্ষিণের রাফা শহরে এই অপারেশন চালানো হবে। ফলে গাজায়, বিশেষ করে রাফায় ইসরাইল যে তাদের নৃশংসতা বন্ধ করছে এমনটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। বরং এই সেনা প্রত্যাহার হতে পারে তাদের ভবিষ্যত হামলার প্রস্তুতি।
৭ অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। এ পর্যন্ত এই যুদ্ধে তারা কমপক্ষে ৩৩ হাজার ১৭৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫ হাজার ৮৮৬ জনকে।