প্রাণ ফেরার অপেক্ষায় নগরী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ৭:৪০:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের টানা ছয়দিনের ছুটি শেষ হয়েছে রোববার। সোমবার থেকে খুলেছে অফিস আদালত, বিপনীবিতান। বাড়ি ফেরত লোকজন ফিরছেন কর্মস্থলে, তবে সেই সংখ্যা অনেকটা কম। এখনও আগেরমতো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসেনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন অফিস আদালত ঈদের দুদিন আগে বন্ধ হলেও দোকানপাট খোলা ছিল। সেসব দোকানের লোকজন ছুটি কাটিয়ে আরও দুদিন পর ফিরবেন। তাই লোকজন কম। সবাই ফিরলে নগরী আবারও আগের মতো সরব হয়ে উঠবে। ফলে ফাঁকা নগরী প্রাণ ফেরার অপেক্ষায় ।
সোমবার দেখা যায় অফিস আদালত খুলেলেও নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা লোকজন আসা যাওয়া করেননি। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম। মার্কেটগুলো খুললেও অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। রাস্তার ধারের কিছু দোকান দুপুরের পর খুললেও লোকসংখ্যা ছিল কম। আগেরদিন সরকারি নিয়মে বাংলা নববর্ষ থাকলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরদিন নববর্ষ পালন করেন। তাই এসব দোকানে যে অল্প কয়েকজন ক্রেতার দেখা মেলে তাদের বেশিরভাগ ছিলেন সতানত, যারা নববর্ষের জন্য বের হয়েছেন।
সকাল থেকে কড়া রোদ থাকায় কেউ বের না হলেও বিকেলের দিকে পরিবার পরিজন নিয়ে বের হতে দেখা গেছে অনেককে। যারা গ্রামে ঈদ করতে গিয়েছিলেন সিলেটে ফিরে তারাই মূলত এদিন পরিবার নিয়ে নগরে ঘুরতে বের হয়েছেন।
ইমদাদুল হক নামে একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সোমবার জানান, আজ থেকে অফিস খুললেও ঈদের পরদিন গ্রাম থেকে চলে আসি। পহেলা বৈশাখ পালনের জন্য বাচ্চাদের স্কুল থেকে নোটিশ যাওয়ায় চলে আসতে হয়েছিল। তাই আজ অফিস থেকে বের হয়ে বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়েছি।
এদিকে চারদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে বিভিন্ন বিপনীবিতান। নগরীর কাকলী, ব্লু ওয়াটার, শুকরিয়া, লন্ডন ম্যানসন, মিতালী ম্যানসনে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকান বন্ধ। অল্প যে কয়টি দোকান খুলেছে সেগুলো লোকজন কম, ক্রেতাও নেই। তারা জানান ঈদের ছুটির পর প্রথম মার্কেট খুলেছে তাই স্বাভাবিক ক্রেতা কম থাকার কথা। তাছাড়া চাঁদরাত পর্যন্ত দোকান খোলা ছিল। ফলে কর্মচারীরা আরও দুইদিন ছুটি কাটিয়ে আসবে।