বৃষ্টি হলেও মিলবে না স্বস্তি, তাপমাত্রা ছাড়াবে ৪১ ডিগ্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৯:২৩:৪০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : তীব্র গরমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জনজীবন যখন অস্থির হয়ে উঠেছে, তখন সিলেটের কিছু জায়গায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বরং সামনের দিনে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রী ছাড়িয়ে যাবার শঙ্কা রয়েছে।গত কয়েক বছর যাবত দেখা গেছে, বৈশাখ মাসের এই সময়টিতে তাপমাত্রা এ রকম থাকে এবং এবারও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি।
এপ্রিল মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মনে উদ্বেগও বাড়ছে। সাধারণত দেখা যায়, গরম বাড়লে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। এমন অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর যে পূর্বাভাস দিচ্ছে সেটি গরম নিয়ে দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে তুলছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামী ২০ এপ্রিলের পরে গরমের তীব্রতা আরো বৃদ্ধির পূর্বাভাস করা হচ্ছে।আগামী ২০ তারিখের পর বিভিন্ন জায়গায় গরমের ব্যাপ্তি আরো বাড়বে, আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেছেন। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। দেশের কিছু জায়গায় ইতোমধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব জায়গা হচ্ছে-সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৃদু তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মাঝারি তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপ প্রবাহের তেমন কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেছেন, কয়েকদিন পরে সিলেটের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে যে বৃষ্টিপাত হবে তাতে গরমের তীব্রতা কমবে না। গরমের তীব্রতা কমে আসার জন্য যে ধরনের বৃষ্টিপাত প্রয়োজন সেটির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
আজ বুধবার সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলা বৃষ্টি হতে পারে।আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, গত বছরের এই দিনে অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। তখন তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪০.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহ নাগাদ ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে, বাংলাদেশের যেসব জায়গায় গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা থমকে যাবার উপক্রম হয়েছে তার মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বিভাগীয় শহর রাজশাহী অন্যতম। রাজশাহীতে দিনের অধিকাংশ সময় তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। তবে গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে ৪২ ডিগ্রির মতো।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবার প্রচন্ড গরমের মাঝে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। গতকাল ২৪৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় কোন লোডশেডিং ছিলনা।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে। একদিকে গরম এবং অন্যদিকে সেচের চাহিদা। এবারও আমরা মনে করছি যে এপ্রিল মাসটাই হবে সর্বোচ্চ চাহিদা মাস। তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।
গত সপ্তাহ খানেক যাবত ঈদের বন্ধ থাকায় অধিকাংশ মানুষ তাদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এমন অবস্থায় শহরের অনেক বাড়িতে মানুষ নেই। এজন্য বিদ্যুৎ পরিস্থিতি গত এক সপ্তাহ যাবত মোটামুটি ভালো ছিল। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে লোডশেডিং ‘চোখ রাঙাচ্ছে’। গত দুইদিনে দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে।