ইসরায়েলি হামলার খবর, ইরান বলছে হাস্যকর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৫৪:২১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : ইরানে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছে আমেরিকা। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ইস্ফাহান প্রদেশে হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে।ইরানের ইস্পাহান শহরে বিস্ফোরণের ঘটনাকে বিভিন্ন সূত্র ইসরায়েলি হামলা বলে উল্লেখ করলেও ইরান সেই বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে। এটি বাইরের দেশের হামলা নয় বলে ইতিমধ্যে ইরানের গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। এ অবস্থায় তেহরান ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পাল্টা জবাব দেবে না বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইরানের এমন অবস্থানের পর আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কা অনেকটা কেটে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ইরানিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সি একজন কর্মকর্তা হোসেইন দালিরিয়ানের দাবি, সীমান্তের বাইরে থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।এক এক্স পোস্টে মি. দালিরিয়ান লিখেছেন, ইসরায়েল কয়েকটি কোয়াডকপ্টার (ড্রোন) ওড়ানোর ব্যর্থ এবং হাস্যকর চেষ্টা চালিয়েছে। ভূপাতিত করা হয়েছে কোয়াডকপ্টারগুলোকে।গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করছিলেন কূটনীতিকেরা।
ইরানের গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা ওই ঘটনাকে ছোট আকারের বিস্ফোরণ বলে বর্ণনা করছেন। তাঁরা বলছেন, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েনের পর ইস্পাহান নগরে তিনটি ড্রোন আঘাত হানে। তাঁরা ওই ঘটনাকে ইসরায়েলের বদলে বরং ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব না দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ইরানের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এ ঘটনার জন্য তাদের ইসরায়েলে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই।শুক্রবার ভোরে ইরানের ইস্ফাহান প্রদেশে বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যগুলো বলছে। দেশটির রাজধানী তেহরান থেকে প্রদেশটি দূরত্ব সাড়ে তিনশো কিলোমিটার।
ইস্ফাহানেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে। প্রদেশের নাতানজ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে।
তবে, “নির্ভরযোগ্য সূত্রের” কথা উল্লেখ করে দেশটির গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো “পুরোপুরি নিরাপদেই” আছে।ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে। ইস্ফাহান শহর নিরাপদ অবস্থায়ই আছে এবং বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা খুবই জরুরি। দুই পক্ষকে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। একইভাবে চীন ও আরব দেশগুলো দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।