প্রেস কাউন্সিল এখনও নখদর্পহীন -বিচারপতি মো. নিজামুল হক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ৫:৫৪:৩১ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, প্রেস কাউন্সিল এখনও নখদর্পহীন একটি প্রতিষ্ঠান। তাই একে শক্তিশালী করতে হলে প্রেস কাউন্সিলকে ক্ষমতা দিতে হবে। সেই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে এখন কেবল সংসদে পাশের অপেক্ষায়। এটা হয়ে গেলে প্রেস কাউন্সিলের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়ে যাবে। শুধু প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়ছে এই খবর প্রচার পাওয়ার পরই বিগত বছর ৩২ টি মামলা কাউন্সিলে হয়েছে। যা ২০২২ এ ছিল ২টি এবং ২০২১ সালে মাত্র ১টি। তিনি রোববার সিলেটে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সিলেট সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিচাপতি নাসিম আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকতার কাক্সিক্ষত মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। জনকল্যাণকর সাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকদের অবশ্যই নীতিমালা ও দেশের প্রচলিত আইন সম্পর্কে জানতে হবে। তবেই সাংবাদিকতা দেশ ও দেশের মানুষের কাজে আসবে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মো. আল-জুনায়েদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সহকারী পুলিশ পুপার মো. সম্রাট তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন ।
প্রেস কাউন্সিল আইনটি যুগোপযোগিকরণ প্রক্রিয়াধীন উল্লেখ করে বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে সাংবাদিকবৃন্দ সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন। এ কারণেই সংবাদপত্রের এ অভিভাবক সংস্থাটি বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন। এ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হলে আধাবিচারিক সংস্থা হিসেবে প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হবে এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। জনগণের চাহিদা মোতাবেক ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরো বলেন, তৃণমূলের সাংবাদিকতার উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সবসময় আন্তরিক। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আগামীতেও অব্যাহত রেখে সাংবাদিকতার মান ও সামাজিক দায়বদ্ধতার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি