‘সিলেট শহীদ স্মৃতি উদ্যান’-এ লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ৩৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ৮:১৪:১৭ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা: সিলেট ক্যাডেট কলেজ-সংলগ্ন বধ্যভূমিতে ‘সিলেট শহীদ স্মৃতি উদ্যান’ প্রতিষ্ঠায় অংশীদার হলো লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব। ক্লাবের সাধারণ সদস্য ও আজীবন সদস্যদের সহযোগিতায় ৩৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। ২১ এপ্রিল রোববার বিকেলে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৩৫ লাখ টাকার চেক (প্রতীকী) হস্তান্তর করা হয়। এই অর্থ শীঘ্রই সিলেট শহীদ স্মৃতি উদ্যান কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিকী চেকটি গ্রহণ করেন সিলেট শহীদ স্মৃতি উদ্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষে কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা আহমদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি। এই ৩৫ লাখ টাকার মধ্যে ১১ হাজার পাউন্ড একাই দান করেছেন কনজার্ভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইউকের প্রেসিডেন্ট ব্যবসায়ী মুকিম আহমদ।
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের এর সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কনজার্ভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইউকের প্রেসিডেন্ট মুকিম আহমদ, সিলেট শহীদ স্মৃতি উদ্যান ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা আহমদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মহিব চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বাসন, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও ইউকেবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ এমবিই, আজীবন সদস্য ও ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার এমবিই, আজীবন সদস্য ও ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সিইও ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান এবং আজীবন সদস্য ও ব্রেন্ট কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ।
উল্লেখ্য, সিলেট ক্যাডেট কলেজের পেছনে সালুটিকর বধ্যভূমিতে স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এবং নির্মাণ কাজ শেষে উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ৪ মার্চ। এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অবঃ) এম এ সালাম বীরপ্রতীক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ জিয়া উদ্দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের স্বজনদের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে নিয়ে ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন এই বধ্যভূমিতে নৃশংস কায়দায় হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। এই বধ্যভূমিতেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান’। যুদ্ধকালিন সময়ে সেখানে মাটিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত অনেক শহীদের মধ্য থেকে ৬৬ জনের নাম-পরিচয় সনাক্ত করে পৃথক পৃথক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি শহীদদেরও নাম-পরিচয় শনাক্তকরণে কাজ চলছে। ৬৬ শহীদের পরিবার প্রথমবারের মতো দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী তাদের শহিদ স্বজনদের স্মৃতিচিহ্নের সন্ধান পেয়েছেন। নান্দনিক এই স্মৃতি উদ্যানে পর্যায়ক্রমে পাঠাগার, যাদুঘর, কফিশপ এবং আলাদা বসার জায়গা নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।