বাংলাদেশ-কাতার ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৩১:৩৯ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী ও কাতার আমীর বৈঠক
জালালাবাদ রিপোর্ট : বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ।মঙ্গলবার ঢাকার তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিগুলো হল :
আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি, দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধ চুক্তি, সাগর পথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুই দেশের যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
সমঝোতা স্মারকগুলো হল :
কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।
শেখ তামিম মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা। একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন তারা। এরপর চামেলি হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কাতারের আমীর শেখ তামিম।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর করবী হলে তাদের উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়, মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমীরের নামে নামকরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন কাতারের আমীর।দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে কাতার মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত। আরবের এ দেশ বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও, যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ কাতার জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এসব কারণে কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই সফরকে ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ হিসেবেই দেখছে সরকার।