২০০ দিনে গড়াল গাজা যুদ্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৩৬:৩২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ২০০তম দিনে গড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এত প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জোরালো হলেও তা বন্ধের কোনো দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা কমার কোনো লক্ষণ নেই। ছোট্ট এই উপত্যকার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে দিনরাত বোমা ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজায় গতকাল আবারো গোলাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুনভাবে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অনেকে।
মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর মাঝে লড়াই শুরু হয়েছে। এতে অনেক বেসামরিক নাগরিক এলাকা ছেড়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে। তবে এই ঘটনায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, বর্তমানে ইসরাইলি আর্টিলারি বাইত লাহিয়া, বাইত হ্যানউন এবং বাইত হ্যানউন (ইরেজ) ক্রসিংয়ের আশেপাশের এলাকাগুলোতে গোলাবর্ষণ কররে। তারা বাইত হানুনে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জলপাই, কমলা ও লেবু গাছ তুলে ফেলছে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। রমজানের আগে এই চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি হলেও এখন দুপক্ষের মতবিরোধের কারণে তা স্থবির হয়ে পড়ে আছে।