খরায় নদী শুকিয়ে কাদায় আটকা জলহস্তীর পাল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ৮:১৪:০০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার এল নিনো ধরনের কারণে এই অঞ্চলের দেশগুলোর প্রকৃতি বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ও ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকটের মধ্যে পড়েছে এই অঞ্চলের জীববৈচিত্রও।
জানা গেছে, খরার কারণে শুকিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার বড় নদী থামলাকানে। আর নদীর কাদায় আটকে গেছে শতাধিক জলহস্তী। বিরূপ পরিবেশে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে প্রাণিগুলো। শুক্রবার স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ বার্তাসংস্থা এএফপিকে এসব তথ্য জানান।এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উত্তর বতসোয়ানার বিস্তীর্ণ জলাভূমি নিয়ে গঠিত ওকাভাঙ্গো বদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া থামলাকানে নদী শুকিয়ে গেছে। ফলে জলহস্তীর পাল প্রাকৃতিক জলের খোঁজে পর্যটন শহর মাউনের কাছাকাছি যেতে বাধ্য হয়।
বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে বন্যপ্রাণী ও জাতীয় উদ্যান বিভাগের (ডিডব্লিউএনপি) মুখপাত্র লেসেগো মোসেকি বলেছেন, বড় একটি নদী শুকিয়ে গেছে ও প্রাণীরা এর ফলে সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, নদীর দুই ধারের গাছপালা দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর উত্তর-পশ্চিমের জেলা এনগামিল্যান্ডের জলাভূমিতে বসবাস করা জলহস্তীগুলো থামলাকানের জলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় এখানকার জলহস্তীগুলো কাদায় আটকা পড়েছে। আমরা এখন খতিয়ে দেখছি যে, কতগুলো জলহস্তী মারা গেছে।’
জলহস্তীদের ত্বক পুরু হলেও যথেষ্ট সংবেদনশীল। রোদের হাত থেকে বাঁচতে এদের নিয়মিত গোসল করার পাশাপাশি আর্দ্র অঞ্চলে থাকতে হয়। এমনকি, জল ছাড়া জলহস্তীরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে ও জলের সন্ধানে মানববসতির কাছাকাছি চলে যেতে পারে।
বতসোয়ানা হল বন্যাঞ্চলে বসবাসকারী জলহস্তীদের বৃহত্তম জনসংখ্যার আবাসস্থল। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) জরিপে দেখা গেছে, দেশটিতে আনুমানিক ২ হাজার থেকে ৪ হাজার জলহস্তী রয়েছে।
চলতি বছর বতসোয়ানাসহ জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া ও মালাউইতেও তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটাতে এসব দেশের লাখ লাখ মানুষ নিয়মিত সংগ্রাম করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশগুলো এরই মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করেছে।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি