দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ৯:৩৭:২৮ অপরাহ্ন
প্রতিবেশী মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮.২, ফিলিপাইনে ৫০
জালালাবাদ রিপোর্ট : দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ ঘটনায় দেশে দেশে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। চাপ বাড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর।প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৪৮ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের কথা জানিয়েছে, যা এপ্রিলে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সোমবার মিয়ানমারের আবহাওয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে অঞ্চলের চাউক শহরে তাপমাত্রার পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর দেশটিতে এপ্রিল মাসে এত গরম আর দেখা যায়নি।
ফিলিপাইনের কোনও কোনও অঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। চরম গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিপাইন সরকার। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ নাগরিকদের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে।
২২ এপ্রিল উত্তরের শহর লাম্পাং-এ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এই তাপপ্রবাহ এই সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।উত্তর ও মধ্য ভিয়েতনামের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। কাল পর্যন্ত এমন তাপপ্রবাহ থাকবে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ রোববার ১৬টি অঞ্চলের জন্য গরম আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। এসব এলকায় গত তিন দিন ধরে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের তাপমাত্রা গত বছরের চেয়ে বেশি হতে পারে।গত বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে নতুন রেকর্ড গড়ে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, বিশেষ করে এশিয়া দ্রুতগতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে, আর এর প্রভাবও গুরুতর হয়ে উঠছে।জলবায়ুবিশেষজ্ঞ ম্যাক্সিমিলিয়ানো হেরেরা সিএনএনকে বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাপমাত্রা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছেছে। এখানকার তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বেড়েই চলেছে।
হেরেরা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম গত বছর তাপমাত্রা ছিল অসহনীয়। কিন্তু এ বছর সে রেকর্ডও ভেঙে গেছে। এই জলবায়ুবিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির যে প্রবণতা তা অনিবার্য। এই অঞ্চলকে এপ্রিলের বাকি সময় ও মে মাসজুড়ে তীব্র গরম সহ্য করার প্রস্তুতি রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনকার দাবদাহের সবচেয়ে উদ্বেগজনক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে এ অঞ্চলজুড়ে প্রসারিত হচ্ছে। এর শেষ দেখা যাচ্ছে না।