ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহারে অনুমতি লাগবে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯:৪০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ‘খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে।’ সোমবার রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ভূমিসেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, ‘জরিপের ওপর নির্ভর করে খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে একজন ব্যক্তির কি পরিমাণ এবং কোন খতিয়ানে কত জমি রয়েছে। ফলে জাল দলিলের সমস্যা আর হবে না।’
দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে। সেটার মধ্যে কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কতটুকু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে তা জেলা প্রশাসক নির্ধারণ করবে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থা না করার কারণে এটি এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে যে এটি সময় সাপেক্ষে এবং কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হবে ডিজিটাল জরিপে।’