কুলাউড়ায় সম্পদে এগিয়ে কামাল, সবচেয়ে কম রেনুর
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ মে ২০২৪, ৫:৫৩:২১ অপরাহ্ন
এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, কুলাউড়া : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতা। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম ও সহসভাপতি কামাল হাসান।
নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের এই ৩ নেতার মধ্যে সম্পদ বেশি কামাল হাসানের। আর সবচেয়ে কম সম্পদ রফিকুল ইসলাম রেনুর। কামাল হাসানের ব্যাংকে জমা আছে ৭২ লাখ টাকা। রেনুর ব্যাংকে জমা আছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। আর কামরুল ইসলামের ব্যাংকে জমা আছে ১০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বরাদ্দকৃত প্রতীক নিয়ে চলছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। পাশাপাশি রয়েছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ। রফিকুল ইসলাম রেনুর প্রতীক আনারস, কামরুল ইসলামের প্রতীক কাপ-পিরিচ ও কামাল হাসানের প্রতীক মোটরসাইকেল।
প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনুর হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক পাস। তার পেশা কৃষি। তার বছরে আয় কৃষি খাতে ১ লাখ ৫০ হাজার ও অন্যান্য খাতে ৫০ হাজার টকা। রেনুর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া নিজ নামে ৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি নোহা গাড়ি আছে। এ ছাড়া কৃষিজমি ৮৯ শতক, অকৃষি জমি ১৫.৫০ শতক এবং বাড়ির জমি ৬.৫০ শতক রয়েছে। তিনি দানসূত্রে ৮০ হাজার টাকা ও ১ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রীর কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
আসম কামরুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস। তারও পেশা কৃষি। তার বার্ষিক আয় কৃষি খাতে ২১ হাজার ৭৫০ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৭২ হাজার টাকা, অন্যান্য খাতে ২ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা। কামরুলের নিজ নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫শ টাকা। কৃষি ও অকৃষি সব জমি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। এ ছাড়া ৬৫ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ৮৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
কামাল হাসান স্নাতক (সম্মান) পাস। তার বছরে আয় কৃষি খাতে ২২ লাখ টাকা ও বাড়ি ভাড়া থেকে ৩ লাখ টাকা। কামালের শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ১২ লাখ ২৫ হাজার ১৪০ টাকা এবং অন্যান্য ৪৪ হাজার ২৩৫ টাকা। তার হাতে নগদ আছে ২ লাখ টাকা। আর ব্যাংকে জমা ৭২ লাখ ৫শ টাকা। কামালের ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মোটর গাড়ি, বাস ও ট্রাক আছে। এ ছাড়া ৩ লাখ টাকার স্বর্ণ, ৩ লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং নিজ নামে ৩.৭৩ বিঘা কৃষিজমি (মূল্য ১৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬০ টাকা), ৫ শতক অকৃষি (মূল্য ২০ লাখ টাকা) রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে।