গরমের প্রভাব বাজারে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মে ২০২৪, ৮:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : তীব্র তাপদাহে মাঠের ফসল তুলতে পারছে না কৃষক এই অজুহাতে গেল কয়েক সপ্তাহজুড়ে অস্থিরতা ছিল সবজির বাজারে। কিন্তু শুক্রবার সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও উল্টো বেড়েছে কিছু সবজির দাম। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না তেমন কোনো সবজি। মাছ মাংসের বাজারেও আগুন।
শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, শসা ৪০-৫০, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ৭০-৮০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০, কাঁচা কলা ডজন ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও শাকের মধ্যে পাট শাক ১৫-২০ টাকা, কলমি শাক ১০-১৫ টাকা, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আলু ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ৬৫-৭৫ টাকা, রসুন ১৮০-২০০ টাকা, আদা ২০০-২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে দাম কিছুটা কমবেশি হচ্ছে।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। সোনালি ৩২০-৩৫০ টাকা। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। মাঝখানে কিছুটা কমে ঈদের সময় আবারও বেড়ে ৭৫০ টাকা হয়েছিল। এখনও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২২০-২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা। এছাড়াও ৫০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম ততো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।