বড়লেখায় কে ভাঙ্গছেন ২য় মেয়াদে চেয়ারম্যান হওয়ার রেকর্ড?
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২৪, ৭:৩৮:১৮ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলা পরিষদে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও কেউই দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হননি। সব সময়েই বড়লেখা উপজেলা পরিষদে নতুন মুখ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছেন। আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এদের একজন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ এবং চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর।
নির্বাচনী মাঠ ঘুরে সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে নির্বাচনে ত্রিমূখি লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। আর এজন্য জনমনে নানা কৌতুহল দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এই কৌতুহলের মাত্রা বাড়ছে। কে ভাঙ্গতে যাচ্ছেন দ্বিতীয় মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড, সোয়েব নাকি সুন্দর। নাকি শেষ পর্যন্ত অতীতের ধারাবাহিকতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন নতুন মুখ প্রার্থী আজির উদ্দিন। এখন সর্বত্রই চলছে এ নিয়ে চুলছেড়া বিশ্লেষন।
প্রথম ধাপে বড়লেখায় আগামী ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ইউনিয়ন আর একটি পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৫ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭০টি। বিএনপি ও জামায়াতের কোনো প্রার্থী না থাকায় এই তিন প্রার্থীই এই দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাদেরকে ভোট কেন্দ্রমূখি করতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ স্বত্ত্বেও প্রকাশ্যে ও গোপনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে ময়দানে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ গঠনের পর প্রথম নির্বাচনে (১৯৮৬) উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আছাদ উদ্দিন বটল। দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (১৯৮৮) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন। সেই ধারাবাহিকতায় সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন (২০১৪) ও রফিকুল ইসলাম সুন্দর (২০১৯) দ্বিতীয় মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেননি।
বড়লেখা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ জানান, রফিকুল ইসলাম সুন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সোয়েব আহমদ সাংগঠনিক সম্পাদক। এদের দুইজনকেই বড়লেখাবাসি একবার করে ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। জনগণ তাদের শাসনামল দেখেছেন। তারা জনগণের কোনো প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেননি। বড়লেখার মানুষ সবসময় নতুন মুখ প্রার্থীকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে আসছেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির অন্তত ৮০ ভাগ বাস্তবায়ন করেছেন। নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও কেন্দ্রিয় সরকারের বিধিবিধানের কারণে বাকি ২০ ভাগ প্রত্যাশা পুরণ সম্ভব হয়নি। বড়লেখার মানুষ তাকে দ্বিতীয় বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে বড়লেখায় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবেন।