বড়লেখায় সালিশে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫ : বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, গ্রেফতার ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২৪, ৭:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় একটি মারামারির ঘটনার আপোষ নিষ্পত্তির সালিশ বৈঠকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে উত্তেজিত পক্ষ অপরপক্ষের বাড়িঘর, দোকানপাঠ ও ৬টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। আহতদের দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল (আদর্শগ্রাম) গ্রামের পাঞ্জেগানা মসজিদের সামনে ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশ একপক্ষের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন- বড়থল গ্রামের মৃত ইলিয়াছ আলীর ছেলে সেলিম মিয়া, মৃত সমছির আলীর ছেলে আশুক মিয়া, মৃত সুলেমান মিয়ার ছেলে আত্তর আলী ও সহিদ মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ। শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ গ্রেফতার আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও একপক্ষের থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল ঈদের আগের রাতের একটি মারামারির ঘটনার আপোষ মীমাংসার লক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে বড়থল আদর্শ গ্রামের পাঞ্জেগানা মসজিদের সামনে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলী ও এলাকার মুরব্বি আবুল আছ, সেলিম উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য আলা উদ্দিনসহ সালিশগণ একপক্ষের বক্তব্য শুনছিলেন। মুরব্বি সেলিম উদ্দিনের সাথে একপক্ষের লোকজন ঝগড়া বাধায়। এর জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হন। আহতরা হলেন- মাহমদ হোসেন, রুবেল আহমদ, আবুল হোসেন, খলিল আহমদ, সুমন আহমদ, ছলু মিয়া, ময়নুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ, হাসান আহমদ প্রমুখ। পরে একপক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষের ঘরবাড়িতে, মোটরসাইকেল ও দোকানপাঠে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। তাদের তান্ডবে একজন মা ৮ মাস বয়সের শিশু সন্তান ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষের সেলিম উদ্দিন প্রতিপক্ষের ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অপরপক্ষও মামলা দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।