দেশে বেড়েছে বেকার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২৪, ৫:০০:৩০ অপরাহ্ন
নতুন বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার
জালালাবাদ রিপোর্ট : দেশে বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার আছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের (মার্চ-জানুয়ারি) তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার।
সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এই জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুসারে, যাঁরা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তারা বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। বিবিএস এই নিয়ম অনুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।এদিকে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে। বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।
সবচেয়ে বেশি বেকার গ্রামে। সংখ্যায় তা ১৮ লাখ ১৩ হাজার। শহরে বেকারের সংখ্যা সাত লাখ ৬৯ হাজার। অর্থাৎ শহরের তুলনায় গ্রামে বেকারের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। সংখ্যায় গ্রামে বেকারত্ব বেশি হলেও বেকারত্বের হারের দিক দিয়ে শহরের স্থান ওপরে। শহরে বেকারত্বের হার ৪.১৯ শতাংশ আর গ্রামে ৩.৩২ শতাংশ। দেশের উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকার ১২ শতাংশ। এ বিষয়ে বিবিএসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রান্তিক ভিত্তিতে বেকারের সংখ্যা হেরফের হতে পারে। সাধারণ শীতের সময় কাজের সুযোগ কম থাকে।
বছরের বিভিন্ন সময়ে বেকারত্বের হারে হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে নানা বিষয় সম্পর্কিত। এর অন্যতম একটি নিয়ামক মৌসুম। যেমন: শীত ও বর্ষা মৌসুমে কাজের সুযোগ কম থাকে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দেশে যুব শ্রমশক্তি (১৫-২৯ বছর বয়সী) ধারাবাহিকভাবে কমছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এই সংখ্যা ২ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার। গত বছর (২০২৩) ছিল ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার। আর ২০২২ সালে ছিল ২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার।
বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার। এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তাঁরা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।