বড়লেখায় বন্যহাতি আতংকে কাজে যাচ্ছে না শ্রমিকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২৪, ৭:১৯:৩৮ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি : বড়লেখার সংরক্ষিত বন সংলগ্ন আদিবাসি খাসি পল্লীর পানজুমে কয়েকদিন ধরে একটি বন্যহাতি অবস্থান করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। দলবেঁধে জুম শ্রমিকরা ঢাকঢোল পিটিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করলে ঘুরে ফিরে হাতিটি প্রায় একই স্থানে অবস্থান করায় আতংকে শ্রমিকরা পাহাড়ে কাজে যাচ্ছে না।
জানা গেছে, উপজেলার পাথারিয়া পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংলগ্ন ৭নং খাশিয়া পুঞ্জির গুটিবাড়ি এলাকার পানজুমে গত মঙ্গলবার থেকে একটি বন্যহাতি ঘুরেফিরে প্রায় একই জায়গায় অবস্থান করছে। দূর থেকে হাতিটিকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে হাতিটি বয়স্ক ও অসুস্থ। জুম শ্রমিক বিষ্ণু সাহা, নন্দন সাহা ও শ্রমিক নেতা অজিত রবি দাস জানান, তারা অনেকেই পাহাড়ের পানজুমে কাজ করেন। গত কয়েক দিন ধরে তারা যে জুমে কাজ করেন সেখানে বিরাট একটি হাতির অবস্থান ও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখেন। হাতিটি বন্য, বয়স্ক ও অসুস্থ বলে মনে হয়েছে। তাড়ানোর চেষ্টা করলেও যায়নি। হাতির ভয়ে কয়েকদিন ধরে শ্রমিকরা জুমে কাজ করতে গিয়ে হাতি দেখে ফিরে আসছেন।
বনবিভাগ সুত্র জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে ৭টি বন্যহাতি পাহাড়ের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে অবাধ বিচরণ করতো। লোকালয়ে তেমন দেখা যেত না। সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ করায় হাতিগুলো ভারতে প্রবেশ করতে না পারায় এবং পাহাড়ে খাদ্যাভাব ও বিচরণস্থল কমে যাওয়ায় মাঝে মধ্যে লোকালয়ে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি করতো। ২/৩ বছর ধরে এই দলের তিনটি হাতিকে দেখা যাচ্ছেনা। চারটিকে মাঝেমধ্যে জঙ্গলে বিচরণ করতে দেখা যায়।
বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, তিনি শুনেছেন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশের খাসিয়া পুঞ্জির পানজুমে একটি হাতি অবস্থান করছে। হাতিটি চারটির দলের একটি হতে পারে। তবে সোমবার খবর পেয়েছেন হাতিটি জুড়ীর লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের দিকে চলে গেছে। নির্বাচন (বুধবার) শেষে তিনি সরেজমিনে এলাকা পরির্দশন করে ব্যবস্থা নিবেন।