তারাপুর বাগানের মামলায় রাগীব আলী কন্যা জেল হাজতে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২৪, ৮:০৮:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের মামলায় আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি শিল্পপতি রাগীব আলী কন্যা রোজিনা কাদিরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সি.এম.এম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, রোজিনা কাদির আইনজীবী গোলাম ইয়াহইয়া চৌধুরীর মাধ্যমে সিলেটের মুখ্য মহামগর হাকিম আদালতে গতকাল দুপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদনের উপর দীর্ঘ শুনানি করে জামিন নামঞ্জুর করে রোজিনা কাদিরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে নারী পুলিশের একটি টিম কড়া প্রহরায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায়। রোজিনা কাদির সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীর একমাত্র কন্যা ও কামালবাজার তালিবপুরের আব্দুল কাদিরের স্ত্রী। একই মামলায় তার স্বামী আব্দুল কাদিরও আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তবে, তিনি এখনো পলাতক।
তারাপুর চা-বাগান দখল করে সরকারের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় (কোতোয়ালি জিআর মামলা নং-৯৭৪/২০০৫) সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রাগীব আলী, তার পুত্র আব্দুল হাই, কন্যা রোজিনা কাদির, জামাতা আব্দুল কাদির ও নিকটাত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে রাগীব আলী ও তার পুত্র আব্দুল হাই ও নিকটাত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ওই সময়ে কারারন্তীন ছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের আদেশে কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান। তবে, রায় ঘোষণার আগে থেকেই রোজিনা কাদির ও আব্দুল কাদির পলাতক ছিলেন। রোজিনা কাদির ও আব্দুল কাদিরকে দন্ডবিধি আইনের ৪৬৭/৪৬৮ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দন্ডবিধির ৪২০/৪৭১ ধারায় উপরোক্ত দুই আসামিকে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দীর্ঘ সাত বছর দন্ডিত অবস্থায় পলাতক থাকার পর গতকাল রাগীব আলী কন্যা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও জামাতা আব্দুল কাদির পলাতক রয়েছেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।